জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে কর্মরত প্রায় ২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছেন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা এ অনুদান চেয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলো ১৯৯২ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি নিয়ে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ১৪টি সরকারি কলেজের পাশাপাশি প্রায় ১০০টি কলেজের ২ হাজার শিক্ষক একই কোর্স-কারিকুলামে ৭৫ শতাংশ শিক্ষকের বিএড ট্রেনিং দিয়ে আসছে। এসব কলেজ থেকে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ শিক্ষক ট্রেনিং নিয়ে জাতি গঠনে অবদান রাখছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেবল প্রশিক্ষণার্থীদের প্রদত্ত সামান্য কোর্স ফিয়ের ওপর নির্ভরশীল কলেজগুলো দেশের স্বাভাবিক অবস্থায়ও নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে পারে না। কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষককে খণ্ডকালীন কাজের ওপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হয়। অনেকেই অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বাড়ি ভাড়াসহ অন্যন্য খরচের ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা ক্ষীণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, কলেজগুলো বাড়ি ভাড়াসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। যদি সরকারি কোনো সহযোগিতা না পাওয়া যায় তবে স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত কলেজগুলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণে জর্জরিত হবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে,যা কেনো ভাবেই কাম্য নয়। তাই এই চরম সংকটময় মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের  প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করে ৫ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এনএম/এনএফ