জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও পাস কোর্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বণ্টন প্রকাশ করা হয়েছে। এ দুই স্তরে মোট মেধা ও সাধারণ স্তরে ৭০২ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৬ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২০-২১ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) কোর্স পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি বণ্টন করা হবে। রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তির সংখ্যা/কোটা ও টাকার পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃত্তি বণ্টন করতে হবে।

স্নাতক (সম্মান) বৃত্তি

এ স্তরে মেধাবৃত্তির সংখ্যা মোট ১৮টি ও সাধারণ বৃত্তি ৩৭৫টি। মেধাবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাসিক ১ হাজার ১২৫ টাকা আর বাৎসরিক এককালীন অনুদান হিসেবে ১ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসিক ৪৫০ টাকা ও বাৎসরিক এককালীন অনুদান হিসেবে ৯০০ টাকা প্রদান করা হবে। উভয় বৃত্তির মেয়াদ হবে এক বছর।

স্নাতক (পাস কোর্স) বৃত্তি

এ স্তরে মেধাবৃত্তির সংখ্যা মোট নয়টি। মাসিক বৃত্তির হার ১ হাজার ৫০ টাকা, বাৎসরিক এককালীন অনুদান হিসেবে মোট ১ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করা হবে। সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হবে ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে। তার মধ্যে প্রতি জেলায় দুই জন ছাত্র আর দুই জন ছাত্রীকে নির্বাচন করতে হবে। অবশিষ্ট ৪৪টি বৃত্তি মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। সাধারণ বৃত্তি হিসেবে মাসিক ৩৭৫ টাকা আর বাৎসরিক অনুদান হিসেবে এককালীন ৬০০ টাকা প্রদান করা হবে। সাধারণ বৃত্তির মেধাকাল হবে দুই বছর।

বৃত্তি প্রদানে প্রধান শর্ত

বৃত্তি প্রদানের প্রধান শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী অনুপাতে মেধাবৃত্তি এবং সাধারণ বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র আর ৫০ শতাংশ ছাত্রী হিসেবে বণ্টিত হবে। তবে যোগ্য ছাত্রী না পাওয়া গেলে যোগ্য ছাত্রকে সম্পূরক বৃত্তি দেওয়া যাবে। বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী উচ্চতর শ্রেণিতে অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হলেই কেবল বৃত্তি ভোগের যোগ্য হবে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

এনএম/এমএইচএস