করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের কোনো শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অটো প্রমোশন দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। ২০২১ সালে ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। ভার্চুয়াল ক্লাস চালু থাকলেও শতভাগ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা যায়নি।

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরীক্ষার্থী ব্যাচকে প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে। শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন এসে বাড়ির কাজ নিয়ে যাবে। বুধবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। 

এ বছর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর আমরা তা জানিয়ে দেবে।

বুধবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে। ১৩ জুন থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ।

তিনি বলেন, যদি ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খুলে দিতে পারি, সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারা হয়তো সপ্তাহের ছয়দিন ক্লাসে আসবে। যারা ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তাদের ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যদের সপ্তাহে হয়তো একদিন ক্লাসে আনা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এটি চলছে। বন্ধ রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। মাঝখানে করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝখানে হঠাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। ঈদে বাড়ি যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এসব বিষয়ও আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে।

এনএম/আরএইচ