কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মূলধারায় নিয়ে আসতে ২০১৬ সালে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেয় দরকার।‌ এরপর থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করলে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবিতে স্নাতকোত্তরের সনদ পাচ্ছেন কওমির শিক্ষার্থীরা। তবে এ সনদধারীরা সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না। এক্ষেত্রে রয়েছে নানা জটিলতা।

এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক পাস না থাকায় বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষাতে আবেদন করতে পারেন না কওমি শিক্ষার্থীরা। মান পেয়েও সনদের সঠিক ব্যবহার করতে না পারা নিয়ে চরম হতাশ তারা।

কওমি শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকার মান দিয়ে রেখেছে। কিন্তু এ মান কোনো কাজে লাগে না। এমন মান দিয়ে লাভ কী? তাদের কেউ কেউ বলছেন, আমাদের সরকারি চাকরির প্রতি এত টান নেই। তবে সরকারের উচিত শুধু স্নাতকোত্তর নয়, স্নাতক মানও দেওয়া। তাহলে শিক্ষার্থীদের সরকারি সব চাকরিতে আবেদনের সুযোগ থাকবে। সরকারের এটি নিশ্চিত করা উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকার এমন মান দিয়েছে যেটি আমাদের কোনো কাজে আসে না। আমরা বেসরকারি নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিসিএস, এমনকি কোনো কর্মচারী পদেও আবেদন করতে পারছি না। সরকার মান দিয়েছে তিন বছর হলো। কিন্তু তিন পয়সারও লাভ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

যেসব চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতকোত্তর চাওয়া হয় সেক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক বা এর সমমানের সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র দাওরায়ে হাদিসের সনদ দিয়ে কিভাবে সনদধারীরা সরকারি চাকরিসহ অন্যান্য চাকরি বা অনান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি।

গত বুধবার (১৬ জুন) কওমি বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের একটি সভা হয়েছে। এতে সরকারি চাকরিতে দাওরায়ে হাদিসের মান ও কার্যকারিতার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে। এটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে কওমি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের সরকারি চাকরির বিষয়ে কোনো জানাশোনা নেই।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিষয়টি আমার কাছে ক্লিয়ার না। এটা একটা জটিল বিষয়। তবে এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক না থাকলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ নেই।

এনএম/আরএইচ