করোনার মহামারির মধ্যে থেমে নেই দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা চালানোয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রশংসা কুড়িয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এবার সমাবর্তনের মতো মহাকর্মযজ্ঞ ভার্চুয়ালি করে আরেক দফা প্রশংসা কুড়ালো এ বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার (১৯ জুন) দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভার্চুয়াল সমাবর্তন সম্পন্ন করে অনন্য রেকর্ড করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এ সমাবর্তনে বিভিন্ন বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্সের ১ হাজার ৪৬৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে অনন্য ফলাফল অর্জন করায় ৬ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। 

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তন

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের হাতে সমাবর্তনের সনদ এবং চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর পদক ভার্চুয়ালি তুলে দেন।

সমাবর্তনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী ৫৮৮জন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৩৬৬ জন, আইন অনুষদের ১১০ জন এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০ জন। তারা ২০১৭ সালে ফল সেমিস্টার থেকে ২০১৯ সালের সামার সেমিস্টারের মধ্যে তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শেষ করেন। 

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।  

গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি, অভিভাবক ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে। ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন ছন্দে ফেরে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৮ বছর আগে স্বল্প পরিসরে যে প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল, কালক্রমে তা এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

এনএম/এইচকে