বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও পাকিস্তান উচ্চশিক্ষা কমিশন (এইচইসি) উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি, যৌথ গবেষণা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) পাকিস্তান এইচইসির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশনের প্রকল্প পরিচালক জেহানজেব খান। বৈঠকে তিনি পাকিস্তানের ‘নলেজ করিডোর’ উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তিতে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রগতি অর্জন করেছে।

জেহানজেব খান বলেন, নলেজ করিডোর শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে দুই দেশের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

সভায় পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল স্নাতক পর্যায়ের (নন-ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও এলাইড হেলথ সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০টি ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দেন। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তারা।

এ সময় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ বলেন, বাংলাদেশে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে ইউজিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। সে ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষার উল্লেখযোগ্য সাফল্য শিক্ষার্থী বিনিময় ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক হবে।

তিনি আরও বলেন, নলেজ করিডোর উদ্যোগ বাংলাদেশ–পাকিস্তান শিক্ষা সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে এবং তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, ঢাকা আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা সম্মেলনে নলেজ করিডোর নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করা হবে।

সভা শেষে দুই পক্ষ ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। এছাড়া, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও একমত পোষণ করেন।

আরএইচটি/এমজে