শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে গত ২৩ জুন কওমি মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়। ওই সভার এজেন্ডায় কওমি মাদরাসা খোলার ইস্যু ছিল না। এ কারণে মন্ত্রণালয়ের ডাকা সভায় যোগ দেননি কওমি মাদরাসা পরিচালনা শিক্ষা বোর্ডের নেতারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় যোগ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কওমি মাদরাসার নীতিনির্ধারণী বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ।

মন্ত্রণালয়ের সভায় যোগদানের অপারগতার কারণ সম্পর্কে শুক্রবার (২৫ জুন) বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভার আলোচ্যসূচিতে কওমি মাদরাসা খোলার বিষয়টি ছিল না। অথচ আল-হাইআতুল উলয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বারবার আলোচনা হচ্ছিল। তাই সময়ের দাবি ছিল মাদরাসা খোলার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকা।

এছাড়া ‘সভার নোটিশ’ এর আলোচ্য বিষয় এবং ‘অফিস আদেশ’টি আইন, ২০১৮ এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সভার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হওয়া জরুরি। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব ছিল না।

আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যানের নির্দেশে বুধবার (২৩ জুন) রাতেই মন্ত্রণালয়ের সভায় যোগদানে অপারগতা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করা হয়।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার) বাদ জোহর বেফাকের কার্যালয়ে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির ঢাকার সদস্যরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব (দামাত বারাকাতুহুম)।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান সায়ীদ, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা মনীরুজ্জামান, বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের।

এনএম/এসএসএইচ