প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন অবিলম্বে ১১তম গ্রেডে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ।

শনিবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১৩টি দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন বলেন, ‘এগুলো আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। আশা করি, সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিগগিরই এ দাবিগুলো পূরণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের দেওয়া ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য যে পরিপত্র জারি হয়েছে, সেটি কার্যকরেও জটিলতা আছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই ১১তম গ্রেডে বেতন। না হলে আমাদের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন।’

সহকারী শিক্ষকদের বাকি দাবিগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ পরিচালক পর্যন্ত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা-সম্পর্কিত বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় আয়ের ছয় শতাংশ অথবা ভোট বাজেটের ২০ শতাংশ অর্থ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে হবে। প্রতি তিন বছর পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা (২০১৮ সালে শ্রান্তি বিনোদন ভাতাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ২০২১ সালে তিন বছর পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাননি), উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি/প্রথম যোগদানের তারিখ ধরে জাতীয় পর্যায়ে গ্রেডেশন দেওয়া হোক।

১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন করতে হবে। ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা দ্রুত ছাড় দিতে হবে। যেহেতু এটা একটা দেড় বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স, তাই প্রশিক্ষণোত্তর স্কেল ফিরিয়ে দিতে হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।

চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করা হোক। নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা মাসিক ২০০ টাকার স্থলে দৈনিক ন্যূনতম ১০০ টাকা করতে হবে। যাতায়াত ভাতা দিতে হবে।

ইএফটিতে বেতন হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকরা সরকারঘোষিত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন না। শিক্ষকদের শর্তহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যালয়ে এসএলআইপি ও সরকারি অন্যান্য বরাদের অর্থ প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতির যৌথ অ্যাকাউন্টে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধির যৌথ অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।

এনএম/আরএইচ