কলেজ জীবনের প্রথমবার সশরীরে ক্লাস করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাসিত ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। গতবছরের সেপ্টেম্বরে ২০২০-২১ সেশনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও করোনার কারণে সশরীরে ক্লাস করার সুযোগ হয়নি তাদের। প্রায় এক বছর অনলাইনেই ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এসব শিক্ষার্থী। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) তাদের সশরীরে ক্লাস করার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৭টা থেকে মূল ফটকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৭টায় খুলে দেওয়া হয় প্রধান ফটক। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের অধ্যক্ষ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয় নিজ শ্রেণিকক্ষে। সেখানে জাতীয় সংগীত এবং অধ্যক্ষের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যের পর শুরু হয় ক্লাস। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক।

প্রায় এক বছর অনলাইনে যেসব শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন সরাসরি দেখার আনন্দটাই বেশি বলে জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। রাকিন আহমেদ নামের একজন বলেন, আজ আমি কলেজ জীবনে প্রথম সশরীরে ক্লাস করেছি। আমরা দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস করেছি। অনলাইন ক্লাসে আমরা যেসব শিক্ষককে মোবাইলে দেখেছি, তাদের আজ সামনে থেকে দেখতে পেলাম। খুব আনন্দ লাগছে।

রবিন হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ জীবনের প্রথম সশরীরে ক্লাস হিসেবে খুব উত্তেজনা কাজ করেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ছিল কবে ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস করব। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

তবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। অনেকেই সরাসরি গ্রামের বাড়ি থেকে এসে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের এখনও আবাসন সমস্যার সমাধান হয়নি। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ইতোমধ্যেই একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকা কলেজের আবাসিক হলগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা একসঙ্গে। এ কারণে বেশকিছু জটিলতায় হল খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দু-একদিনের মধ্যেই হয়ত এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

আরএইচটি/এসএসএইচ