স্কুলের প্রধান ফটক পার হয়েই হাত ও পা জীবাণুমুক্ত করছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষে বসছে দূরত্ব বজায় রেখে। ছুটির পর সারিবদ্ধভাবে বাইরে বের হয়ে আসছে তারা।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা যায় রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা স্কুল খোলার পর এ চর্চা অব্যাহত রয়েছে। নতুন এ নিয়মে শিক্ষার্থীরাও অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছে।

ক্লাস শেষে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিংশুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি বেশ ভালোভাবেই মানা হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা আছে। 

এ শিক্ষার্থী জানান, শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতা অথবা ছোট হওয়ায় তারা অনেক বেশি দূরত্ব মেনে বসতে পারছে না। কোনো কোনো বেঞ্চে তিন জনকেও বসতে হচ্ছে। তবে অধিকাংশ বেঞ্চে দুই জনই বসেছে। এছাড়া ভেতরের পরিবেশ ভালো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই চলাচল করছে। একসঙ্গে বসে থাকছে না। সবমিলিয়ে ভালো। স্কুল খুলেছে, এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

সকালে সরেজমিনে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেখা যায়, প্রথম ব্যাচে সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা পা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজ করে প্রবেশ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে বসতেও দেখা গেছে। অপরদিকে স্কুল শেষে সারিবদ্ধভাবে বের হয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা।

স্কুলটিতে জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্ব পালন করছে ভলেন্টিয়ার, শিক্ষক ও নিরাপত্তা কর্মীরা। গতকালের (রোববার) চেয়ে অভিভাবকদের ভিড়ও আজ কিছুটা কম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজ সুরক্ষার দিকে খেয়াল রাখতে দেখা গেছে।

রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল দেওয়ান মোহাম্মদ তমিজউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করা যায়।

তিনি জানান, সরকারের সব ধরনের নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। অতীতে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু ছিল। এখন সরাসরি চলছে। এতে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হবে। অনেকদিন পর বিদ্যালয়টি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

একে/এসএসএইচ