দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার চিন্তা করছে সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষক বদলির সংশোধিত নীতিমালার কাজ শেষ হলে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বদলি সংক্রান্ত কাজ করা হবে। এ লক্ষ্যে বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করার সফটওয়্যারের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। সেটি হলে আগামী জানুয়ারি থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে। বদলি আগ্রহীদের নতুন করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হবে। প্রাপ্যতা ও যৌক্তিক কারণ থাকলে সহকারী শিক্ষকদের পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে।

এ বিষয়ে ডিপিইর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মুনসুরুল আলম বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সফটওয়্যারের কাজ শেষ করতে নতুন করে আবারো কাজ শুরু করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ক্লাস পাঠদান শুরু হওয়ায় আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষক বদলি করা হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নিয়ে নানা ধরনের অনিয়াম, বাণিজ্য, হয়রানি বন্ধে আমরা একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করেছি। অনিয়ম-বাণিজ্য বন্ধে পুরোনো পদ্ধতি পরিবর্তন করে ডিজিটাল মাধ্যমে আবেদন ও বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়, চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিবছর এই বদলি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বদলির সময় অধিদফতরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ধরে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এনএম/জেডএস