চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সারাদেশের তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি জানান, এবার ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। তার মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১৮ লাখ ৯৯৮ জন। তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা দেবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন, প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি, কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি।

এবারের পরীক্ষায় বিদেশ থেকে ৯টি কেন্দ্রে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার অংশগ্রহণ করবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রগুলো হলো- জেদ্দার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, রিয়াদের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি স্কুল, ত্রিপোলীর বাংলাদেশ কমিউনিটির স্কুল, কাতারের দোহায় বাংলাদেশ মাশহুর উল হক মেমোরিয়াল হাই স্কুল, আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল, বাহরাইনের বাংলাদেশ স্কুল, আরব আমিরাতের বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল, ওমানের বাংলাদেশ স্কুল ও গ্রিসের এথেন্সের একটি স্কুল।

এর মধ্যে জেদ্দা কেন্দ্রে ৯৮ জন, রিয়াদে ৫৩ জন, ত্রিপোলীতে ৩ জন, দোহায় ৮০ জন, আবুধাবিতে ৪৩ জন, দুবাইয়ে ৪৬ জন, বাহরাইনে ৭১ জন, ওমানের সাহামে ৩৪ জন ও গ্রিসের এথেন্সে ১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় হবে দেড় ঘণ্টা। শুধুমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিচার ফোন (স্মার্টফোন ছাড়া) ব্যবহার করতে পারবেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ফয়েল পেপারে মোড়ানো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হবে এবং পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষের ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আরএইচটি/এসএইচআর/জেডএস