মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এতো দীর্ঘ বিরতিতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল না। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। এজন্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়েছে বেশকিছু নির্দেশনা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভাষ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি পর যেকোন দিন শিক্ষাঙ্গন খোলার ঘোষণা আসবে। প্রথমে দশম-দ্বাদশ শ্রেণির সপ্তাহে ৬ দিন এবং মাধ্যমিকে অন্যান্য শ্রেণিতে সপ্তাহ একদিন ক্লাস হবে। ক্লাসে মাস্ক পরাসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের। 

মানতে হবে ৫৫ শর্ত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করতে হবে সামাজিক দূরত্বসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা। এরমধ্যে-ক্লাসরুমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এক মিটার বা ৩ ফুট শারীরিক দূরত্বে বসাতে হবে। এক বেঞ্চ থেকে আরেকটি বেঞ্চের দূরত্ব হবে তিন ফুট। প্রতি ৩০ জন ছাত্রী ও ৬০ জন ছাত্রের জন্য একটি করে টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক/কর্মচারী, ছাত্র ও ছাত্রী এবং প্রতিবন্ধীদের পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রত্যেকটি টয়লেট হতে হবে পরিচ্ছন্ন। নানা ক্যাটাগরিতে এমন আরও অন্তত ৫৫টি শর্ত মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন কতটুকু সক্ষম এমন প্রশ্ন রেখে শিক্ষাবিদরা বলছেন, একাডেমিক নির্দেশনা কিছুটা মানা সম্ভব হলেও স্বাস্থ্যবিধিটা হবে কাগুজে নিয়ম। মানে কাগজে থাকবে বাস্তবে এর কিছুই প্রতিপালন হবে না।

একাডেমিক নির্দেশনা মানলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যেসব নির্দেশনায় মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হয়েছে, সেসব নির্দেশনা মানার মতো অবকাঠামো বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে? মোটেও নেই। তারপরও কেন এসব নির্দেশনা দিল সরকার? –কারণ সরকারের সামনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে নেই, অনেকেই কাজে যোগ দিয়েছে। এসব বাস্তবতায় এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো বিকল্প নেই।

করোনায় শিক্ষার ক্ষতি হয়েছে ১১ মাস। কিন্তু এর ব্যাপ্তি থাকবে অনেক বছর। অর্থাৎ ১১ মাসের ক্ষতি পোষাতে কত বছর লাগবে তা এখনও ঠিক করে বলা যাবে না। ক্ষতি পোষাতে সরকার কি কি পদক্ষেপ নেয় এবং মাঠে তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয় তা দেখার পর বোঝা যাবে।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এমিরেটাস- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আসার আগে যেমন ব্যাপক আগ্রহ ছিল কিন্তু আসার পর দেখা যাচ্ছে উল্টোচিত্র। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন ঘটনা ঘটবে। খোলার পর অনেক অভিভাবক তার সন্তানকে ঝুঁকির মধ্যে স্কুলে পাঠাতে চাইবে না। যারা স্কুলে যাবে না তাদের কি হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

গত ১১ বছরে প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তির অর্জনকে এখন ধরে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এরমধ্যে বাল্যবিবাহ, পড়ালেখা ছেড়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার মতো ঘটনা বেড়ে গেছে।   

বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি ঝুঁকিতে থাকবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় স্বাস্থ্যবিধি মানার যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তা মানতে পারবে না। বড় বড় প্রতিষ্ঠান বেশি ঝুঁকিতে থাকবে।

তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি রাজধানীতে ২৫ থেকে ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান অনেক। এসব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানানো কঠিন। স্কুল ছুটি হলে সবাই গাদাগাদি করে বের হওয়ার পুরোনো অভ্যাস হয়তো পরিবর্তন হবে না। এছাড়াও ৩০ ছাত্রী ও ৬০ জন ছাত্রের একটি করে টয়লেট নিশ্চিত করাও সম্ভব না।

রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। থাকলেও সেগুলো ব্যবহারের উপযোগী নয়। সেখানে ৩০ এবং ৬০ জনের একটি টয়লেট নিশ্চিত করাও কঠিন। ৩ ফুট দূরত্বে একজন শিক্ষার্থীকে বসানো এবং প্রতি বেঞ্চে দূরত্ব ৩ ফিট করা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মানা সম্ভব নয়। শহরের তো নয়ই, গ্রামের অনেক প্রতিষ্ঠানে এটা মানতে পারবে না। এক টেবিলে যেখানে চার থেকে পাচঁজন শিক্ষার্থী বসার পরও ক্লাস রুমে জায়গা হয় না, সেখানে এক টেবিলে একজন বসার পর বাকিরা কোথায় বসবে? তার মতে, এ নির্দেশনা অনেকটা কাগুজের নিয়মে পরিণত হবে। তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে এটা শিক্ষার্থীর শিক্ষার মধ্যে ঢুকবে এটা ভালো দিক।

ঝরেপড়া রোধে ‘করোনা রিকভারি প্যাকেজ’ ঘোষণা করতে হবে
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ১১ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বড় চ্যালেঞ্জ হবে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করানো হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একদিকে অবকাঠামোর সমস্যা অন্যদিকে শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো। কারণ তারা দীর্ঘদিন পর মুক্তভাবে স্কুলে আসবে। এ অবস্থায় তারা কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানবে তাও দেখার বিষয়।

সরকারের একলা চলো নীতি প্রতিহার করে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, এনজিও কর্মীদের সহযোগিতা নিতে হবে।

রাশেদা কে চৌধুরী

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনা পরবর্তী গণসাক্ষরতা অভিযানসহ দেশীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জরিপে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ ঝরে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ এডুকেশন ওয়াচের প্রতিবেদনে মাঠ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখলাম জরিপের সঙ্গে ঝরে পড়ার শঙ্কার প্রায় মিল আছে। তাই সরকারকে শিক্ষা থেকে বের হয়ে গেছে এমন শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফিরিয়ে আনাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। সরকারের একলা চলো নীতি প্রতিহার করে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, এনজিও কর্মীদের সহযোগিতা নিতে হবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখতে উপবৃত্তি বাড়ানোসহ করোনা পরবর্তী রিকভারি প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। প্যাকেজে যদি শিক্ষার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে এ থেকে উত্তরণের জন্য দাতা সংস্থাগুলোকে বোঝানো হয় তবে তারা এখানে অর্থায়ন করতে আগ্রহী হবে। শুধু দাতা সংস্থা নয়, সরকারকে এখানে অর্থায়ন করতে হবে।

ভ্যাকসিনের মতো অবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটতে পারে 
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করোনা ভ্যাকসিন আসার আগে সবাই নেবে এমন আগ্রহ দেখালেও এখন উল্টোচিত্র। কেউ নিতে রাজি নন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে কি না তা দেখা বিষয়। কারণ করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এটা বলার মতো চিত্র আমাদের কাছে নেই। তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় স্কুল খোলার পর কত শতাংশ বাচ্চা স্কুলে আসে তা দেখতে হবে। কারণ মা-বাবা এখন অনেক সচেতন। তার এ পেনডেমিক অবস্থায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন কি না তাও দেখার বিষয়। বাচ্চা বা শিশু কিশোরদের গ্রামার মেনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো কঠিন। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোরও সে সক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, করোনা রিকভারি প্ল্যানে নামে বিভিন্ন প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদনের পথে, আরও কিছু প্রকল্প আসবে। এসব প্রকল্পের যথাযথ ব্যবহার যেন হয়, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।

‘করোনা ব্যাচ’ করে আলাদা প্ল্যান করতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো কঠিন কিছু না। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হলের প্রভোস্টরা চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলগুলো এখনই খুলে দিতে পারেন। 
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কবে খোলা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। যখনই খুলুক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধির চেয়ে একাডেমিক রিকভারি (পুনরুদ্ধার) করায় বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ করোনার কারণে ছয় মাস বা চার মাসের সেমিস্টার এরকম কয়েকটি ব্যাচ জট লেগে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ ব্যাচগুলোকে নিয়ে আলাদা একাডেমিক প্ল্যান করতে হবে।

করোনার সময়ের মধ্যে যেসব কোর্সগুলো পড়ানো যায়নি বা সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ানো হয়েছে সেগুলোকে পরবর্তী সেমিস্টারের সঙ্গে অল্প অল্প করে পড়িয়ে কাভার করতে হবে। প্রয়োজন মৌলিক অধ্যায়গুলো রেখে বাকিগুলো কাটছাঁট করা যেতে পারে। এ নিয়ে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, ডিনরা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের সঙ্গে বসে রিকভারি প্ল্যান করতে পারে।

অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হবে: শিক্ষা সচিব 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর যেসব শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকবে তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। তালিক তৈরির পর তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, কেন তারা আসছে না? পরে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মূলত ঝরেপড়া রোধে এমন উদ্যোগ বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের আয়োজনে রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সচিব।

সচিব বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী করে তুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু হবে। পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কোন কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে না সে তালিকা তৈরি করা হবে। কেন তারা স্কুলে আসছে না তার কারণও খতিয়ে দেখা হবে।

সচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যারা ক্লাসে আসবে না তাদের তালিকা তৈরি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হবে। মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্কুলে অনুপস্থিতির তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ে আসলে তাদের ক্ষতি হবে না বা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে না, অভিভাবকদের তা বোঝানো হবে। সেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকিমুক্ত করে তৈরি করতে হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বীমা আওতায় আনতে হবে
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোলার পর যদি কোনো শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয় তবে এর দায়ভার কে নেবে? এক্ষেত্রে দেখা যাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা সরকার কেউ এর দায়িত্ব নিতে চাইবে না। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বেশি তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর যারা করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় পড়বে না তাদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যাতে কেউ অসুস্থ হলে সরকার তার চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে। তবেই আমরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত হব। 
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অনেক শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকের আচরণে পরিবর্তন ঘটবে। সেজন্য মনোবিজ্ঞানী দিয়ে নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং করাতে হবে। 

এনএম/এসএম