২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থমকে গিয়েছিল পুরো দেশ। সেই বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেক জ্ঞানী-গুণী শিক্ষাবিদ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। করোনা ২০২১ সালেও কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু শিক্ষাবিদের প্রাণ। সেই তালিকায় আছেন জানা-অজানা অনেক শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের ৯ জন শিক্ষক মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চারজন বর্তমান শিক্ষক এবং বাকি পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত। এই ৯ জনের মধ্যে দুজন আবার করোনার দুই ডোজ টিকাও নিয়েছিলেন। তারা হলেন- সংস্কৃত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ফয়েজুন্নেছা বেগম ও মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হাসান।

বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে ৮ আগস্ট উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা ড. নাজমা চৌধুরী, ১৬ জুলাই দর্শন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আবদুল মতীন এবং ১৭ এপ্রিল পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম খান করোনায় মারা যান।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সালেহীন কাদরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক কে এম মোহসীন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. গালিব আহসান খান ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আরও ২০ জন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক। তাদের মধ্যে ১৫ জন শিক্ষক মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। তারা হলেন- পদার্থ বিজ্ঞানের তিন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ. এম. হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন ও অধ্যাপক ড. এম এ এম মুহতাশাম হোসেন; অর্থনীতির দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রশিদ ও অধ্যাপক ড. আইয়ুবুর রহমান ভূঞা; বাংলার দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক আহমদ কবির; সমাজ বিজ্ঞানের দুই শিক্ষক অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. রাবেয়া খাতুন; লোক প্রশাসনের অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবু হামিদ লতিফ, গণিতের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ইতিহাসের অধ্যাপক ড. এ বি এম মাহমুদ এবং ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাশীনাথ রায়।

এছাড়া, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জামাল খান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মাহবুব আহসান খান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. সেকুল ইসলাম ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা এবং ব্রেইন স্ট্রোকে মারা যান নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গাজী সালাহ উদ্দীন, ২২ জুলাই বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ গবেষক, সম্পাদক ও চবির সাবেক অধ্যাপক ভূঁইয়া ইকবাল, ১৯ জুলাই চবি জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. শামসুল হোসাইন এবং ১২ মার্চ ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ. ন. ম. আব্দুল মুক্তাদির মারা যান।  

এছাড়া, অন্যান্য কারণেও মারা গেছেন প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন শিক্ষক। গত সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বিনয় কৃষ্ণ শর্মা মারা গেছেন। এর আগে জটিল রোগে ভুগে ২৪ জুলাই ইতিহাস বিভাগের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ড. ইমরান হোসেন, ২৩ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক বাসবী বড়ুয়া, ১৯ জুলাই কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল মোস্তফা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

৪ জুলাই বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খালেদা হানুম, ২৪ জুন সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ১১ এপ্রিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ, ৭ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাবেক রেজিস্ট্রার ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা মারা যান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

২৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ১৬ জুলাই পরিসংখ্যান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবুল বাশার মিঞা এবং ১৮ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার মারা গেছেন।  

এছাড়া, গত ২৭ ডিসেম্বর ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসাইন মারা গেছেন। এর আগে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগে গত ১৫ নভেম্বর একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও রাবির দর্শন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক এবং ১৫ আগস্ট হৃদরোগে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. এবনে গোলাম সামাদ মারা যান।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক আকরাম হুসাইন মজুমদার, ৫ মে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ফয়সাল এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ইবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক সাইদুর রহমান মারা যান।

বুয়েট

৭ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মুজিবুর রহমান ও ২৪ এপ্রিল মারা গেছেন বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৩ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. আজহারুল হক তপু এবং ৩১ জুলাই মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন অধ্যাপক ও ডিন ড. আমিনুল ইসলাম মারা গেছেন।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৪ আগস্ট সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজমুল হুদা ও ১৩ এপ্রিল উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও বীজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. মাহফুজুল হক মারা গেছেন।

এছাড়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জুলাই রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. মর্ত্তুজা আলী মারা যান। একই দিনে  মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নজিবুর রহমান।

১৮ জুলাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম খান। ৮ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুকুমার রায় মারা যান একই কারণে।

১৬ দিন হাসপাতালের আইসিইউতে থাকার পর গত ৭ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলী মারা গেছেন। ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউসেট)’ উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মোত্তালিব মারা গেছেন।

এছাড়া, শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও সবশেষ প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম মারা যান ৩০ নভেম্বর।

একইদিন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর সাক্ষাতের পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ৩ আগস্ট শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লা মারা যান। করোনামুক্ত হওয়ার পরও ধকল সইতে না পেরে ২৯ জুলাই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন শিক্ষাবিদ ড. মানিক লাল দেওয়ান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রীধারী ছিলেন। ১৪ এপ্রিল ৮১ বছর বয়সে একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান মারা যান।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক

২০২১ সালে করোনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলের শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ছিপাতলী আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম, ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আলমতলা আজিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক শহিদুল করিম, ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের (মালিবাগ শাখা) শিক্ষক (ইনচার্জ) মো. রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন।

২৯ জুলাই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর বাঘার নওটিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান, ২৭ জুলাই চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সানাউল্লা, ২৫ জুলাই খুলনা সদরের বানিয়া খামার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুরুন্নাহার রত্না, ২৪ জুলাই গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আজহারুল ইসলাম সাখাওয়াত, ২১ জুলাই খুলনার সরকারি করোনেশন গার্লস স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামান সুমন, একই দিন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার টেকনোলজির শিক্ষক নাজমুল কবির, ১৭ জুলাই টেকনাফে অলিয়াবাদস্থ মরকজ মসজিদ সংযুক্ত নুরানি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল্লাহ, ৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২নং ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হজরত আলী, ৪ জুলাই নাটোরের বাগাতিপাড়ার কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আ. মজিদ (৭৯) মারা গেছেন। একই দিন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মান্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রশিদ খাঁন মারা যান।

২২ জুন পঞ্চগড়ে খারিজা ভাজনি দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার, ২০ জুন কুষ্টিয়ার খোকসার কুমারখালী সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক মো. আলফাজ হোসেন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ জুন মানিকগঞ্জের মধ্য পুটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ দবির হোসেন, ৮ জুন লালমনিরহাটের চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমিতা দেবো ও ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক মণ্ডল লুলু, ৭ জুন ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর শহরের তারাপুর ইদ্রিছ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মারা যান।

১৯ মে যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিলীপ কুমার সাধু, ২১ এপ্রিল কুমিল্লার লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুদ আলম মারা গেছেন। একই দিন করোনাভাইরাসের কাছে হার মানেন খুলনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মালেকা বেগম, ১১ এপ্রিল রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ৮ এপ্রিল বাগেরহাটের রামপালের বারুইপাড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মোশারারফ হোসেন, ৬ এপ্রিল একই জেলার জাহানাবাদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক মোহাহিদুল ইসলাম, ৩ এপ্রিল ঝালকাঠির নেয়ামতপুরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তন্ময় বেপারী, একই দিন পটুয়াখালীর গলাচিপার কালিকাপুর নুরিয়া মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান ও মঙ্গলসুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  ইসমাইল হোসেন, ২৮ মার্চ নাটোরের নর্থ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষ শাহীনা নাজনীন মিতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

এএজে/এইচকে