করোনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার নির্ণয় করার উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। জেলা পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে আগামী রবিবার সব স্কুল-কলেজে চিঠি পাঠানো হবে।

এছাড়া ২৯ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, করোনার কারণে সারাদেশে দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হয়েছে। অনেকের বাল্যবিয়ে হয়েছে, কেউ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছে। অনেকে আবার পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। এসব তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে তুলে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশি। পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ জরিপ কাজ শুরু করা হবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (৩ জানুয়ারি) মাউশির মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে এক সভা হয়। 

মাউশির পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, সারাদেশে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, কতজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে আসছেন না, কতজন পরীক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সেসব তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হচ্ছে। আগামী রবিবার দেশের সব মাঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দেশনা পাঠানো হবে। তাতে ছক আকারে ইমেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার নির্ণয় করতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতে বলা হবে।

এএজে/আইএসএইচ