মহামারি করোনার কারণে অনলাইন ক্লাস বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে | ছবি- সংগৃহীত

দেশে করোনার রোগী শনাক্তের পর গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় পর ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রায় ১১ মাস পর খুলতে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কতটুকু বদলাবে— এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।

করোনার মধ্যে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে অন্যতম ছিল টেলিভিশন-রেডিও ও অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা। বিশেষ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা এবং লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। বাতিল করা হয় ক্লাসের রোল নম্বর প্রথা।

• স্থায়ী হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া
• বিলুপ্ত হচ্ছে রোল নম্বর প্রথা
• ভর্তির স্বচ্ছতায় স্থায়ী হচ্ছে লটারি
• অনলাইন-টেলিভিশনের ক্লাস স্থায়ী হচ্ছে
• ক্লাসরুমে এসেছে নতুন নতুন প্রযুক্তি

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনায় আপৎকালীন হিসেবে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে  বেশকিছু সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থায় স্থায়ী হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন। বাকি সিদ্ধান্তগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে। কয়েক বছর ধরে নানা বাধার সম্মুখীন হলেও এবার সেটা সম্ভব হচ্ছে।

স্থায়ী হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট

করোনার সময় শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখতে কৌশলী হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বছর শেষে অ্যাসাইনমেন্ট। ২০২০ শিক্ষাবর্ষের শেষ তিন মাসে বিষয়ভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রণয়ন করা এ সংক্ষিপ্ত অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকদের কাছে জমা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেছেন শ্রেণিশিক্ষকরা।

ক্লাসরুমে এসেছে নতুন নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া | ছবি- সংগৃহীত

অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এটা পরবর্তী ক্লাসে ওঠার কোনো মূল্যায়ন নয়। এবার করোনার কারণে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি তাই একজন শিক্ষার্থী কী কী ঘাটতি নিয়ে পরের ক্লাসে গেছেন সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তা পরবর্তী ক্লাসে শেখানোর জন্য এ অ্যাসাইনমেন্ট।

আপৎকালীন নেওয়া এ সিদ্ধান্ত স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো। ইতোমধ্যে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত আরও তিন মাসের বাড়ির কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করেছে এনসিটিবি। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠানো হয়েছে। মাউশি তা যাচাই-বাছাই করছে।

করোনার কারণে এবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এ চর্চাটা স্থায়ীভাবে সব স্তরের প্রতিষ্ঠানে চালু থাকুক

প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা বছরই শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে থাকে। করোনার কারণে এবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এ চর্চাটা স্থায়ীভাবে সব স্তরের প্রতিষ্ঠানে চালু থাকুক সেজন্য ক্লাসে পড়ানোর পাশাপাশি শ্রেণিশিক্ষক নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন। এ অ্যাসাইনমেন্টের ওপর নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে যা বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষায় যোগ হবে।

বিলুপ্ত হচ্ছে রোল নম্বর প্রথা

শ্রেণিকক্ষে কার রোল কত, সেটা ধরেই অতি মেধাবী, মধ্যম মেধাবী, কম মেধাবী শিক্ষার্থী নির্ধারণ করা হতো। এ রোল নম্বর সামনে আনতে গিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে রীতিমতো অনৈতিক প্রতিযোগিতা হতো। এতে কখনও কখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যোগ দেন। করোনার কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে ওঠার ফলে কারও কোনো রোল নম্বর থাকবে না।

‘২০২১ সালে কোনো ক্লাসে রোল নম্বর থাকবে না’ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘রোল নম্বর নিয়ে একটা সমস্যা হয়। আমাদের রোল নম্বরের যে প্রথা রয়েছে, তার কারণে একটা অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সহযোগিতার মনোভাব দরকার, অনেক সময় রোল নম্বরের কারণে সেটির অভাব ঘটে। রোল সামনে রাখতে চায় সবাই।’

এবার স্কুলে ভর্তির ফরম পূরণ, জমা ও লটারি— সবই অনলাইনে হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে স্থায়ী করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে

সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বরের এ বিষয়ের পরিবর্তে আইডি নম্বর দেওয়া হবে। এতে পুরানো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে। অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সৎ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে।

ভর্তির স্বচ্ছতায় লটারি স্থায়ী হচ্ছে

প্রতি বছর প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এ বছর করোনার কারণে সরকারি-বেসরকারি সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাচাই করা হয়েছে।

সরকারি স্কুলে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি হয়। এতে পাঁচ লাখ সাত হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। বেসরকারি স্কুলগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধির সামনে লটারি করা হয়। দেশের নামী প্রতিষ্ঠানগুলোর লটারি ফেসবুক লাইভেও প্রচার করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া ও আদায়ের বিষয়টিও অনেকে পছন্দ করেছেন | ছবি- সংগৃহীত

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লটারির মাধ্যমে ভর্তি ব্যবস্থা করাতে এবার স্কুলগুলোতে বৈষম্য কমার পাশাপাশি ভর্তিযুদ্ধের প্রথা ভেঙেছে। একই সঙ্গে স্কুলে ভর্তি অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বিশেষ কোটা প্রথা বাতিল হয়েছে। এ পদ্ধতিকে স্থায়ী রূপ দিতে পারলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভর্তিযুদ্ধের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে।

বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বলেন, ‘সরকার সব কাজই ডিজিটালি করতে উৎসাহিত করছে। এবার স্কুলে ভর্তির ফরম পূরণ, জমা ও লটারি— সবই অনলাইনে হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে স্থায়ী করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। 

মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শহরের ভালো স্কুলগুলো অনুসরণ করে। তাই ভালো স্কুলগুলো থেকে বাছাই করে ভালো শিক্ষকদের ক্লাসগুলো রেকর্ড করে প্রচার করলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তা উপভোগ করবে

প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি

আগামীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে— এমন ইঙ্গিত দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি-অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির কোনো সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, ‘করোনার সময় বাধ্য হয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটাকে সুযোগ হিসেবে নিতে চাই। ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটা ডিজিটালি ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে করায় এতে কারও হাতের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সুযোগ পায়নি। আমি মনে করি, এটাকে আগামীতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায়।’

শিক্ষার্থী বাছাইয়ে লটারির ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলে ভালো স্কুলগুলোতে সবাই সুযোগ পায় না। কিন্তু লটারির ফলে সবাই এ সুযোগটুকু পায়। এতে স্কুলগুলোতে সব ধরনের মেধার প্রতিফলন ঘটবে। আমি চাই এ পদ্ধতি আগামীতে থাকুক।

অনলাইন, টেলিভিশনের ক্লাস স্থায়ী হচ্ছে

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পর রেকর্ড করা ক্লাস টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার করার প্রথম সিদ্ধান্ত আসে। গত জুন থেকে মাধ্যমিকে শুরু হলেও পরে প্রাথমিকসহ অন্যান্য স্তরের টেলিভিশনে ক্লাস প্রচার হয়। যদিও এ ক্লাসের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। তারপরও টেলিভিশনে ক্লাসকে আরও সম্প্রসারিত করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

করোনাপরবর্তীতে সরাসরি ক্লাস শুরু হলেও সপ্তাহে দুদিন টেলিভিশনে ক্লাস প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সংসদ টেলিভিশন ছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশনকে এসব ক্লাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ভালো স্কুলের ক্লাসগুলো রেকর্ড করে টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার করার একটা সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। সেটা করোনাপরবর্তীতে বাস্তবায়ন করতে চাই।

এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শহরের ভালো স্কুলগুলো অনুসরণ করে। তাই ভালো স্কুলগুলো থেকে বাছাই করে ভালো শিক্ষকদের ক্লাসগুলো রেকর্ড করে প্রচার করলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তা উপভোগ করবে এবং স্থানীয় শিক্ষকদের ক্লাসে মনোযোগী হবে।

এদিকে বাংলাদেশ অনার্স কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশনের রেকর্ড করা ক্লাস প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠনটির যুক্তি, দুর্যোগকালীন শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে দূরশিক্ষণ শিক্ষার দিকে মনোযোগী হতে হবে। 

ক্লাসরুমে নতুন নতুন প্রযুক্তি

পশ্চিমা দেশগুলোতে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার প্রচলন আগে থেকেই ছিল। বাংলাদেশে এটা ছিল অপ্রতুল। করোনায় ইংরেজি মাধ্যম, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যাপক প্রচলন হয়। এর সঙ্গে ই-বুক প্রণয়ন, শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পড়ানোর ক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বায়নের পর বাংলাদেশ যেখানে যুক্ত হতে পারেনি করোনা সে সুযোগ করে দিয়েছে।

অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

এটুআই সেটাকে আরও সম্প্রসারিত করছে। দেশে প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ৫৩ হাজার ৬৮৯টিতে একটি করে ল্যাপটপ এবং ২২ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করেছে। পাশাপাশি নতুন করে ৩৬ হাজার ৭৪৬টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ৫১ হাজার সাউন্ড সিস্টেম কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো এতদিন ব্যবহার না হলেও করোনাপরবর্তীতে ব্যবহার হবে বলে মনে করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম।

এনএম/ওএফ/এমএআর/