১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ‘আশার বাণী’ শোনাতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরীক্ষা আয়োজনে স্থান সংকটের সমাধান এখনও হয়নি।

এদিকে, ১৫ হাজার ৩২৫টি পদের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে যাচ্ছে। এরপরই আসবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি। এসবের বাইরে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা একটি বড় সমস্যা। সব মিলিয়ে জুনের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনে এনটিআরসিএ তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন করেন ১১ লাখ ৭২ হাজার প্রার্থী। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২০ সালের ১৫ ও ১৬ মে এবং ৭ ও ৮ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে ওই বছরের এপ্রিলে ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ২১ মাস পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি এনটিআরসিএ।

পরীক্ষা আয়োজনে স্থানের সংকটকে বড় মনে করছে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগকারী এ সরকারি সংস্থাটি। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরেও এনেছে তারা। সংকট সমাধানে শিক্ষাবোর্ডগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা তো আছেই। তাই এনটিআরসিএ জুন মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিতে চাইলেও পরীক্ষার সময় আবারও পেছাতে পারে।

এনটিআরসিএর পরীক্ষা আয়োজনে সারাদেশে ১৯টি সেন্টার প্রয়োজন। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছেন পাঁচ থেকে ছয় লাখ আবেদনকারী। ঢাকার বাইরে ১৮ জেলায় খুব বেশি পরীক্ষার্থীর সমাগম হয় না। পরীক্ষাটি সম্পন্ন হলেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিতে খুব বেশি সময় নেয় না কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৭তম নিবন্ধনের বিষয়ে এখনও কোনো আপডেট নেই। আমাদের বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়। কারণ পরীক্ষার প্রশ্ন ও রেজাল্ট তৈরির মেশিনসহ নানা কার্যক্রম চালাতে হয়। কিন্তু সে জায়গা আমাদের নেই। মন্ত্রণালয়কে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। সেজন্য আমরা বিকল্প চিন্তা করছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে আমরা তাড়াতাড়ি পরীক্ষা নিয়ে নেব।

তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা যোগদান করলে শূন্য পদের তথ্য নিতে হবে। ১৭তম নিবন্ধনের আগে বিশেষ ও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি শেষ হলে আমরা ১৭তম নিবন্ধন নিয়ে বসব।

এএজে/আরএইচ