চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করি ২৩ মে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ভাইভা পরীক্ষার মাত্র ৭ দিন বাকি থাকায় আমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনা মহামারির কারণে আমাদের লিখিত ও ভাইভার ফল প্রকাশে অনেক দেরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেকের বয়সই ৩৫ পার হয়ে গেছে বা কাছাকাছি রয়েছে। আমাদের শিক্ষক হওয়ার লালিত স্বপ্ন আজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এখন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুনছি। আমাদের ১৮ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে সারা দেশের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

এ বিষয়ে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী এম এ আলম বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে আগামীকাল থেকে আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করব। এরই মধ্যে অনশনে অংশ নিতে অনেকে রাজধানীতে আসা শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়ে দ্রুত সাড়া দিবেন।

জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। এই অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশীদের দাবি, ই-রিকুইজিশন নিয়ে সমন্বয় করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। এতে শূন্য পদ পূরণ সম্ভব।

এএজে/আইএসএইচ