চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হচ্ছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। এখানে তারা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করবেন।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ ট্রেনে, কেউ লঞ্চে, কেউবা বাস যোগে ঢাকায় এসেছেন।

প্রেস ক্লাবে জড়ো হওয়া চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা জানান, এখানে তারা অনশন শুরু করবেন। এরপর দুপুর ২টা থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনেও অনশনে বসবেন তারা।

এ বিষয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী এম এ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাকায় আসছেন। অনেকে এরই মধ্যে অনশনস্থলে পৌঁছে গেছেন। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন করে যাব।

জানা গেছে, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করি ২৩ মে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ভাইভা পরীক্ষার মাত্র সাত দিন বাকি থাকায় আমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনা মহামারির কারণে আমাদের লিখিত ও ভাইভার ফল প্রকাশে অনেক দেরিতে হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেকের বয়সই ৩৫ পার হয়ে গেছে বা কাছাকাছি রয়েছে। আমাদের শিক্ষক হওয়ার লালিত স্বপ্ন আজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এখন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুনছি। আমাদের ১৮ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে সারা দেশের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশীদের দাবি, ই-রিকুইজিশন নিয়ে সমন্বয় করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। এতে শূন্য পদ পূরণ সম্ভব হবে।

এএজে/এসএসএইচ