গত ১ ডিসেম্বর অনেকটা গোপনেই বিয়ে সারেন গায়ক ইলিয়াস হোসাইন ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। কিন্তু তার এক মাস না যেতেই ঝড় নেমে আসে দুজনের দাম্পত্য জীবনে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনতে থাকেন তারা। এর সঙ্গে জড়ায় ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রীর করিনের নামও।

এসব কাদা ছোড়াছুঁড়ির মাঝেই ইলিয়াস চলে যান দুবাই। আর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সুবাহ। সম্প্রতি সেই মামলায় আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন নেন গায়ক। এবার প্রকাশ্যে সুবাহর নামে ইলিয়াসের মামলার খবর। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে ঢাকা পোস্টকে ইলিয়াস নিজেই নিশ্চিত করেন।

মামলার কপি পাঠিয়ে ইলিয়াস জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজে তেমন কিছু বলতে চান না। যেহেতু আইনি ব্যাপার, সেই প্রক্রিয়াতেই এগোবে। তবে যেকোনো সময় সুবাহকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই গায়ক।

মামলায় সুবাহর বিরুদ্ধে ইলিয়াস সেসব অভিযাগ এনেছেন তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, তাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন সুবাহ।

ইলিয়াসের দ্বিতীয় অভিযোগ, সুবাহ তাকে ১ কোটি টাকা দিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। এছাড়া একটি গাড়ি কিনে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব এবং সর্বশেষ গুলশানে একটি স্পা সেন্টার খুলে দেয়া বাবদ বড় অংকের টাকা দাবি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ইলিয়াসকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন।

ইলিয়াস জানান, সুবাহ তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক মিথ্যা প্রচার করেছেন। সেসবের সঠিক প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এছাড়া সামাজিকভাবে সুবাহ তাকে হেয় করেছেন বলেও মামলায় তুলে ধরেছেন এই গায়ক।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিয়াসের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে তার সম্মানহানি করেছেন সুবাহ।

নথিতে ইলিয়াস উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি রেস্তোরাঁয় যেচে ইলিয়াসের সঙ্গে পরিচিত হন সুবাহ। ওই সময় সুবাহ বলেন, ইলিয়াসকে দেখতে তার প্রাক্তন প্রেমিক ক্রিকেটার নাসির হোসেনের মতো। এরপর ইলিয়াসের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে বারবার কল দেন। এক পর্যায়ে কল রিসিভ করেন গায়ক। ফোনে তাদের আলাপ জমতে থাকে।

উল্লেখ্য, ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার ইস্যুতে আলোচনায় আসেন সুবাহ। কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এখনো কোনোটি মুক্তি পায়নি।