বিশ্ব সংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্র্যামিতে ইতিহাস গড়লেন পাকিস্তানি তরুণী। তার নাম আরুজ আফতাব। ‘গ্লোবাল পারফরম্যান্স’ বিভাগে সেরা হয়ে জিতে নিয়েছেন পুরস্কার। এর ফলে প্রথম কোনো পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী গ্র্যামি জিতলেন।

বিখ্যাত মার্কিন সংস্থা ‘দ্য রেকর্ডিং অ্যাকাডেমি’ প্রতি বছর পৃথিবীর সেরা সংগীতশিল্পীদের হাতে গ্র্যামি তুলে দেয়। গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশ করা হয়েছিল পুরস্কারটির ৬৪তম আসরের মনোনয়ন তালিকা। সেখানে জায়গা করেই আলোচনায় আসেন আরুজ আফতাব।

গ্র্যামিতে পাকিস্তানি শিল্পী হিসেবে প্রথম মনোনয়ন পেয়েছিলেন কিংবদন্তি নুসরাত ফতেহ আলী খান। তবে তিনি পুরস্কার জেতেননি। আরুজ আফতাব সেই অপূর্ণতা ঘুচিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।

গ্র্যামি জয়ের পর অনুভূতি প্রকাশ করে আরুজ আফতাব বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি অজ্ঞান হয়ে যাব। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমার তো এখনও মনে হচ্ছে এই ক্যাটাগরিটাই একটু কাণ্ডজ্ঞানহীন। আমার তো মনে হয় এটাকে ‘ইয়াচ পার্টি ক্যাটাগরি’ বলা উচিত। যাই হোক সকলকে ধন্যবাদ যারা আমাকে এই রেকর্ডিংটা করতে সাহায্য করেছেন। যারা শুনেছেন তাদেরও ধন্যবাদ এটাকে আপন করে নেওয়ার জন্য।’’

আরুজের অসামান্য অর্জনে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘খুব খুব গর্বিত। আরও জ্বলজ্বল করো তুমি ক্রেজি স্টার।’

গ্র্যামি আয়োজনে আরুজ আফতাব

বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ এপ্রিল) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন এরেনায় প্রদান করা হয়েছে গ্র্যামি পুরস্কার। এই আসরে সর্বোচ্চ পাঁচটি গ্র্যামি জিতেছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী জন ব্যাটিস্ট।

সেরা গানের পুরস্কার পেয়েছে সিল্ক সনিক ব্যান্ডের ‘লিভ দ্য ডোর ওপেন’। সেরা কান্ট্রি অ্যালবামের পুরস্কার পায় মার্কিন গায়ক ও গীতিকার ক্রিস স্ট্যাপলটনের ‘স্টার্টিং ওভার’। এছাড়া চিলড্রেন মিউজিক বিভাগে সেরা হয়েছে ‘আ কালারফুল ওয়ার্ল্ড’।

জানা গেছে, আরুজ আফতাবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তানের লাহোর। তিনি বোস্টনের বার্কলি কলেজ অব মিউজিকে সংগীত উৎপাদন এবং প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। গজল ও শাস্ত্রীয় সংগীতে পারদর্শী এই শিল্পী।

কেআই/আরআইজে