জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক কেকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা সংগীতাঙ্গন। তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। তবে কেকের মৃত্যু অনেক বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। তুলেছে অনেক প্রশ্ন। কিংবদন্তি শিল্পীর শেষকৃত্যর পরও বিতর্কের পাহাড় তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের অনেকটাই জুড়ে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের ঐতিহ্যবাহী নজরুল মঞ্চ।

মঙ্গলবার কলকাতার গুরুদাস কলেজের ফেস্টে কেকের কনসার্ট চলাকালীন ঠিক কী পরিস্থিতি ছিল তা সরেজমিনে জানতে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) পক্ষ থেকে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক কমিটি গড়া হয়েছিল।

সেই কমিটির সদস্যরা বুধবার নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর বৃহস্পতিবার কেএমডিএর চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।

রিপোর্টে জানানো হয়, সেখানে ৯০০ টন করে মোট ২৭০০ টনের তিনটি এসির ইউনিট রয়েছে। কেকে-র অনুষ্ঠানের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনটি এসি চলেছে। কোনও এসি একবারের জন্যও বন্ধ করা হয়নি। তবে অনুষ্ঠানের দিন মাঝপথে কিছুটা সময়ের জন্য এসির একটি ইউনিট-এর ঠান্ডা কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভিড় বাড়তেই ঠান্ডা ফের বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নজরুল মঞ্চের মূল প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য মোট পাঁচটি গেট রয়েছে। প্রথমে দুটি গেট খোলা হয়েছিল। কিন্তু দর্শক বাড়তেই বাকি গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। দর্শকদের ভিড়ের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেএমডিএর রিপোর্টে।

আইএসএইচ