‘ও রে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ কিংবা ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন যিনি, সেই কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান মারা গেছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আলম খানের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয় চ্যানেল আইয়ের প্রাঙ্গণে। সেখানেই তাকে শেষবারের মতো দেখেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারকারা। এ সময় সংগীত ও সিনেমা অঙ্গনের অনেক তারকা উপস্থিত হয়েছেন।

শেষ শ্রদ্ধায় এসেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

নন্দিত এই সুরস্রষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন কিংবদন্তি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী খুরশিদ আলম, ফেরদৌস ওয়াহিদ, কাজী হাবলু, গায়িকা দিনাত জাহান মুন্নী, সংগীত পরিচালক নকিব খান, মিল্টন খন্দকার, মানাম আহমেদ, ফুয়াদ নাসের বাবু, রিপন খান, চিত্রনায়িকা নিপুণ, গীতিকার আসিফ ইকবাল, কবির বকুল, রবিউল ইসলাম জীবন, মিলন খান, সুহৃদ সুফিয়ান, এনামুল কবির সুজন, গায়ক জয় শাহরিয়ার, শাওন গানওয়ালা প্রমুখ।

আলম খানের পুত্র আরমান খানের সঙ্গে নকীব খান

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলম খানের দুই পুত্র আরমান খান ও আদনান খান। তারা গণমাধ্যমকর্মী ও তারকাদের সঙ্গে বাবার মৃত্যু ও দাফন সম্পর্কে কথা বলেছেন।

আলম খানকে শেষ দেখা দেখছেন কনকচাঁপা

আরমান খান আগেই ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, তার বাবার মরদেহ সমাহিত করা হবে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে পারিবারিক কবরস্থানে। সেখানেই শায়িত আছেন আলম খানের স্ত্রী। তার পাশেই দাফন করা হবে আলম খানকে।

শোকবইতে স্বাক্ষর করছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ, মানাম আহমেদ ও কবির বকুল

উল্লেখ্য, আলম খান দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত এক-দেড় মাস তার অবস্থা ভালো ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে লাইফ সাপোর্টও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বর্ণিল সংগীত ক্যারিয়ারের ইতি টেনে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

কেআই/আরআইজে