‘রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন’-এর মুক্তির কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু মহামারির কারণে বেশ কয়েকবার তারিখ পিছিয়ে যায়। অবশেষে ৫ মার্চ অ্যানিমেশন সিনেমাটি মুক্তি দিতে চলেছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিও। 

বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ‘রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন’। এবার সিনেমাটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হয়নি পিক্সার স্টুডিও। ওয়াল্ট ডিজনি এককভাবে লগ্নি করেছে পুরো সিনেমায়।

অ্যানিমেশন সিনেমার দুনিয়ায় অনন্য এক নাম ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স। ‘টয় স্টোরি’, ‘ফ্রোজেন’সহ বহু রেকর্ড গড়া সিনেমা উপহার দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওতো রীতিমতো অ্যানিমেশন সিনেমার সাম্রাজ্যের রাজা বনে আছে। 

‘রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন’-এর পোস্টার

পিক্সারের ঝুলিতে আছে ২৭টি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, সাতটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, ১১টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ২০০১ সাল থেকে শুরু হওয়া শ্রেষ্ঠ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগে পিক্সারের প্রায় সব সিনেমাই মনোনয়ন পেয়ে আসছে।

‘রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন’-এর ভিজুয়াল সমৃদ্ধ ট্রেলার মুগ্ধ করছে দর্শকদের। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, বহুকাল আগে কুমন্দ্রা নামের এক কাল্পনিক পৃথিবীতে মানুষ ও ড্রাগন মিলেমিশে বাস করত। একসময় অশুভ শক্তির হুমকিতে পড়ে সেই সভ্যতা। 

‘রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন’-এর পোস্টার

তখন মানুষকে বাঁচাতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল ড্রাগনেরা। এর ৫০০ বছর পর সেই একই শয়তান আবারও ফিরে আসে। এবার ভেঙে পড়া পৃথিবী ও বিচ্ছিন্ন মানুষদের এক করতে সর্বশেষ কিংবদন্তি ড্রাগনটিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পড়ে রায়া নামের মেয়েটির ওপর। 

নির্ধারতি সময়ে মুক্তি দিতে না পারলেও সিনেমাটির সাফল্য নিয়ে বেশ আশাবাদি ডিজনি। অনেকদিন ধরেই দর্শকরা অপেক্ষা করছিল এর জন্য। দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ভালোভাবে ঘটবে বলেই বিশ্বাস তাদের। 

এমআরএম