আগামী প্রজন্মের নারী গল্পকারদের জন্য ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে নেটফ্লিক্স। বিশ্বব্যাপী নারীদের মেধার বিকাশ, সৃজনশীল কাজের সুযোগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি এই পরিকল্পনা করেছে। 

সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে সমতা আনার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় নেটফ্লিক্স। এছাড়া আগামী ৫ বছর আরও বেশি কনটেন্ট তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানটি দুই কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। 

নারীদের ক্যামেরার সামনে ও পেছনে দুই জায়গায় কাজ করানোই এই বিনিয়োগের লক্ষ্য। স্থানীয় ও কাস্টম প্রোগ্রামের সহায়তায় নারী লেখক ও প্রযোজকদের উদ্দীপনা বাড়াতে কনটেন্ট তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেবে। যার মাধ্যমে নারীদের অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। 

নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল টিভি বিভাগের প্রধান বেলা বাজাইরা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নারী হিসেবে বেড়ে উঠেছি আমি। ২০০৩ সালে পার্মিন্দার নাগ্রা ইআরে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে আমার মতো কাউকে পাইনি। টেলিভিশনের যখন চিত্রনাট্য পড়া শুরু করি তখনও আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারিনি। এ কারণে কয়েক বছর পরে আমি দ্য মাইন্ডি প্রজেক্টে কাজ করেছি।’ 

বাজাইরা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিখেছি, ভালো গল্প যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে। সেটি পেতে পারে বিশেষ সমাদর। তবে সেটি নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করা চাই। এখন আমাদের প্রতিভা বিকাশে প্রতিবন্ধকতাগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পুরুষদের মতো নারীদেরও সমতার ভিত্তিতে প্রতিভার বিকাশে সুযোগ দিতে হবে।’ 

নেটফ্লিক্স আরব বিশ্বের নারীদের কনটেন্ট তৈরিতেও সহায়তা করবে। চলতি বছরে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি প্রথম আরবি অরিজিনাল ‘আল রাওয়াবি স্কুল ফর গার্লস’ নির্মাণ করেছে। এটি পরিচালনা করেন টিমা শোম্যালি। 

চলতি বছরের শেষদিকে নেটফ্লিক্স ‘ফাইন্ডিং ওলা’ লঞ্চিং করবে। যেখানে মিশরীয় ও তিউনিসীয় অভিনেত্রী হেন্ড স্যাব্রিকে প্রথমবারের নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দেখা যাবে। সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটি সৌদি আরবের হাইফা আল মানসুর ও হানা আল-ওমায়ের পরিচালিত ‘ন্যাপিলি এভার আফটার’ এবং ‘হুইসপার’ মুভিসহ অন্যান্য টিভি সিরিজে আরব নারীদের মেধার বিকাশের সুযোগ দিয়েছে। 

এছাড়া লেবাননের রান্ডা ছাহাল সাবাগ ও সোফি বোউট্রোস পরিচালিত ‘দ্য কাইট’ ও ‘সলিটায়ার’ এবং ফিলিস্তিন থেকে অ্যানি মারিয়ে জ্যাকির পরিচালিত ‘ওয়াজিব’ মুভি মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। 

এইচএকে/এমআরএম