টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাবণী সরকার। চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজে কাজ করে নিজের অভিনয় বৈচিত্র্যের প্রমাণ রেখেছেন। ৩৭ বছরের অভিনয় জীবনে এখনও ভালোবাসেন অভিনয়টাকে। জীবনে কখনও নায়িকা হতে চাননি বরং হতে চেয়েছেন চরিত্রাভিনেতা। যেখানে তার চরিত্রের গুরুত্ব থাকবে পাশাপাশি থাকবে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যম মুখোমুখি হয়েছিলেন লাবণী। সেখানে নিজের অভিনয় নিয়ে মুখ খোলেন এই অভিনেত্রী। তিনি জানান, অন্যকোনো পেশায় থাকলে হয়তো এতদিনে অবসর নিয়ে নিতেন। কিন্তু অভিনয়টাকে ভালোবেসে ফেলেছেন। তার সময়ের নায়িকাদের নাচ, গান এবং কান্না করা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকত বলেও জানান তিনি।

চরিত্রের প্রয়োজনে ২৯ বছর বয়সে ৩৯ বছর বয়সী প্রসেনজিতের মায়ের ভূমিকায় পর্দায় হাজির হতেও ভয় পাননি লাবণী। অভিনেত্রীর সরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার মধ্যে কখনও হিরোইন হওয়ার উপাদান ছিল না। বরাবরই মাটির কাছাকাছি থাকতে আমি ভালবাসি। আমার জীবনবোধের সঙ্গে মেলে না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেরই মনে হতো, ধুর কীভাবে হিরোইন হব। নায়িকাসুলভ মুখই তো নয়। তখনই ভেবেছিলাম আমার কাছে যেমন কাজের সুযোগ আসবে, তেমনভাবেই তা গ্রহণ করব। তখনই আমার চেয়ে মাত্র কয়েক বছরের বড় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের রোল করেছি।’

‘রক্তকরবী’ ওয়েব সিরিজের একটি দৃশ্যে লাবণী সরকার

তার সময়ে নায়িকাদের তেমন কিছু করার ছিল না। সবটাই ছিল নায়ককেন্দ্রিক। তার কথায়, ‘আমরা যে সময়ে কাজ করেছি তখন তো নায়িকাদের তেমন কিছু করার থাকত না। নাচ, গান, একটু ফাইট আর চোখে গ্লিসারিন দিয়ে প্রচুর কান্না করাই ছিল তাদের কাজ। বাকিটা তো সবই হিরো করত।’ নিজের চরিত্রাভিনয় নিয়ে সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হয়েই অনেক খুশি। চরিত্রাভিনেতা হয়ে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করেছি। তাতেই আমি আনন্দিত।’

আগামীতে লাবণী সরকারকে দেখা যাবে সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘রক্তকরবী’ ওয়েব সিরিজে। এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, কিঞ্জল নন্দ, রুকমা রায়, অঙ্গনা রায়, হরিদাস চট্টোপাধ্যায়ের প্রমুখ।