কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাবণী পয়েন্টে মানবপাচার বিরোধী অনুষ্ঠানে গানে গানে মাতালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ। শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায়, জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে মানবপাচার বিরোধী কনসার্ট অনুষ্ঠানে গান করেন তিনি।

সমুদ্র সৈকতে হাজারো শ্রোতাদের সুরের মূর্ছনায় ভাসালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ডাক দিলেন মানব পাচার প্রতিরোধের। তার সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করে শ্রোতারাও নিলেন মানবপাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ।

কনসার্টে মমতাজ ছাড়াও গান পরিবেশন করে ব্যান্ড ‘মাদল’। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মানবপাচার বিরোধী একটি ‘পট গান’ এবং মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে প্রদর্শন করা হয় প্রামাণ্যচিত্র ‘আগুন পাখি’।

মানবপাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার এমন অভিনব উদ্যোগ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান শ্রোতারা।

সুইজারল্যান্ড দূতাবাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত ‘আশ্বাস’ মানবপাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য প্রকল্পের মাসব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে এই ‘সচেতনতামূলক কনসার্ট ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন’ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহায়তা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

আয়োজনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও ‘আশ্বাস’ প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিত। স্বাগত বক্তব্যে দীপ্তা রক্ষিত মানব পাচারের ভয়াবহতা তুলে ধরে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। কনসার্ট আয়োজনে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

নিজের বক্তব্যে মানবপাচার প্রতিরোধে সরকার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বিভীষণ কান্তি দাশ সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য উইনরক ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, উইনরক ইন্টারন্যাশেনাল সুইজারল্যান্ড-এর সহায়তার মানবপাচার প্রতিরোধ ও সারভাইভারদের সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ‘আশ্বাস’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে দেশের মানবপাচারের ঝুঁকিপ্রবণ পাঁচটি জেলা তথা কক্সবাজার, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম এর ১৫টি উপজেলায় মানবপাচার বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।

সাইদুল ফরহাদ/কেএইচটি