জো-সোফির বিচ্ছেদ, কার জিম্মায় থাকবে দুই সন্তান?
সংগৃহীত
পপ তারকা জো জোনাস ও অভিনেত্রী সোফি টার্নার তিন বছরের দীর্ঘ প্রেম, তার পরে চার বছরের দাম্পত্য জীবন। সম্প্রতি তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্পর্কে তিক্ততার কারণেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন জো। তবে তাদের এই বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তাদের দুই মেয়ে। সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে জো ও সোফির মধ্যে।
দিন কয়েক আগে শোনা গিয়েছিল, দুই সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে জোয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সোফি। জো ও সোফির দুই সন্তান কোথায় থাকবে, তা নিয়ে এক প্রকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে আদালত। সেই সিদ্ধান্তে নাকি সম্মতি জানিয়েছেন প্রাক্তন যুগলও।
বিজ্ঞাপন
আপাতত আমেরিকার নিউ ইয়র্ক ও তার আশপাশেই জো ও সোফির দুই সন্তানকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। নিউ ইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড, হাডসন ভ্যালির মতো কোনো একটি জায়গায় থাকতে পারে তারা। আদালতের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন জো ও সোফিও। এই নির্দেশ অমান্য করলে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে আদালত, সেই হুঁশিয়ারিও এখনও থেকেই দিয়ে রেখেছেন বিচারক।
২০১৯ সালে বিয়ের পরে ২০২০ সালে প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোফি। তার পরে ২০২২ সালে প্রাক্তন দম্পতির কোলে আসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান কার কাছে থাকবে, তাই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় জো ও সোফির মধ্যে। জো আমেরিকার নাগরিক হলেও সোফি আদতে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। জোয়ের সঙ্গে বিয়ের পর সোফি আমেরিকায় এলেও বার বার দেশের টানে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন। তার দুই মেয়ে ইংল্যান্ডে বড় হোক, এমনটাই চান সোফি। এদিকে জোর দাবি, তাদের দুই সন্তানের জন্ম আমেরিকায়। আমেরিকান নাগরিক হিসেবে তারা সেখানেই বড় হবে, এই যুক্তিতে চাপ দিতে থাকেন জো।
বিজ্ঞাপন
জোয়ের বিরুদ্ধে সোফির অভিযোগ, দুই মেয়ের পাসপোর্ট নাকি লুকিয়ে রেখেছেন জো, যাতে সন্তানদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে না পারেন অভিনেত্রী। সন্তানদের ওপর যাতে তাদের মা-বাবার এই তিক্ত বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রভাব না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখে জো ও সোফিকে ‘পেরেন্টিং ক্লাস’-এ যাওয়ার নিদান দিয়েছিলেন বিচারক।
এমএ