বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ থেকে উঠে আসা আলোচিত ও সমালোচিত গায়ক সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। এক বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে জানান তিনি।

কিন্তু এরপর বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠে। সোয়াইব বিন আহসান নামে একব্যক্তি নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে এই ঘটনায় নোবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন। তার দাবি, দুর্ঘটনা নয় বরং রাস্তার রং সাইডে বাইক চালিয়ে নোবেল এক সাইকেল আরোহীর ওপর বেপরোয়া বাইক তুলে দিয়েছেন। প্রকাশ পায় ঘটনার ভিডিও।

এরপর ফেসবুকে দেওয়া মিথ্যা তথ্যের জন্য সমালোচিত হন নোবেল। বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন এই সংগীতশিল্পী। এবার তিনি দোষ চাপালেন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর। ফেসবুক পেজে নোবেলের করা পোস্টটি তুলে ধরা হলো-

আসসালামু আলাইকুম। আমি মানুষ। নোবেল। আমার মৌলিক চাহিদা খাওয়া, ঘুমানো, সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করা এবং রাসুল (স:) এর দেখানো পথে চলা। কিন্তু দুর্ভাগ্য অথবা সৌভাগ্যবসত, আমার মৌলিক প্রোফেশান অথবা বিনোদনের মাধ্যম গান শোনা, তারপর গান গাওয়া। যা হয়তো অনেকের পছন্দ, অনেকের নয়। সে বিষয়ে দু:খিত।

ছোটবেলায় নিউজপেপারে সুডোকু খেলতাম। শুকরিয়া। এরপর নিউজপেপার আর আমার কোন কাজে এসেছে? ঠিক মনে পড়ে না। তবে হ্যাঁ! যেহেতু ‘নোবেল’ আপনাদের কাছে একটা পরিচিত নাম, এই নামে কিছু নিউজ তো ছাপা হতেই পারে। এতে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।

পত্রিকা নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে? এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। পড়াশোনাও অনলাইনে হচ্ছে। পাশের বাড়ির খালাতো ভাই গতকাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বলতেছে, নোবেল ভাই! আমি সাংবাদিকতা শুরু করতেছি। দোয়া কইরো। বললাম, ওকে।

তবে পত্রিকার সাংবাদিক অথবা আমি; আমরা কেউই দৈববাণীপ্রাপ্ত আল্লাহর ওলি-আউলিয়া নই যে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। নিউজপেপারে তো অনেক খবরই ছাপা হয়। আর আমিও রোজ-রোজ তামাশা করি। সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবগত এবং আমিও দুঃখিত।

তবে মাথায় ৩০টা সেলাই কেউ নিয়ে তামাশা করে না। আর আমি প্রকাশ্যে, অগোচরে এমনকি অবচেতনেও মিথ্যাচার করি না। প্রকাশ্যে মিথ্যা বলতে পারলে এত সমালোচনা থাকত না। তবে সমালোচনা নিয়ে ইদানিং আর বিচলিত হই না। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকটা বোঝার এবং জানার তৌফিক দান করুক, আমিন।

আরআইজে