আশা চৌধুরীর সেলফিতে মৌসুমী হামিদ ও আশা চৌধুরী, ছবি : ফেসবুক থেকে

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। তার সঙ্গে দারুণ সখ্য ছিল আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদের। আর তাই তো আশার মৃত্যু তিলে তিলে পোড়াচ্ছে মৌসুমীকে। সেই আক্ষেপেই ঝরলো মৌসুমীর এক ফেসবুক পোস্টে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুকে করা সেই পোস্টে মৌসুমী লেখেন, ‘আশা! এই ভাবে! এটা কেমন মৃত্যু ? কিন্তু এটাই মৃত্যু। কি আর করা, মরেই তো গেছিস । মনে কষ্ট রাখিস না একদমই ওই ট্রাক চালকের ওপর। ভেবে নে তোর চেয়ে হয়ত ওই ট্রাক চালকের বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল বেশি। তাই হয়ত সিগন্যালে দাড়িয়ে থাকা বাইকটাকেও উনি গ্রাজ্য করতে পারেননি। তাই ধাক্কা দেবার পরেও তোরই মাথাটা থেতলে দিয়ে চলে গেছেন। হ্যাঁ, ধাক্কা দেবার পরও বামপাশে যে জায়গা ছিল উনি হয়তো কায়দা করে তোর মাথাটা না বেটে দিলেও পারতেন। কিন্তু ওই যে বললাম, ওনার হয়ত তোর চেয়েও তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরার তাড়া ছিল।’

রাস্তায় পড়ে আছে আশা চৌধুরীর মরদেহ, ছবি : সংগৃহীত 

অকালে প্রাণ হারানো অভিনেত্রী আশা চৌধুরীকে স্মরণ করে সাবেক এই লাক্স তারকা আরও লেখেন, আমাকে চামার ভাবিস না এই সব বলছি তাই। দেখা হলেই তো কত কিছু জানতে চাইতি। এটা কি করে করবো, ওটা কেমনে করবো। যা বলতাম সব কিছুই তো শুনতি সেটে। হয়তো ওনার তোর থেকেও ঘরে ফেরার তাড়া বেশি ছিল। মাফ করে দে।’  

উল্লেখ্য, শিহাব শাহীনের ‘একদিন সোফিয়া’ টেলিফিল্মের মাধ্যমে ছোটপর্দায় নাম লেখান আশা চৌধুরী। তারপর থেকেই শোবিজে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন।

সর্বশেষ আশা অভিনয় করেন রোমান রুনির ‘দ্য রিভেঞ্জ’ ও ‘এক ফালি রোদ’, জয় সরকারের ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’, কামরুজ্জামান পুতুলের টেলিছবি ‘স্বপ্নে বিভোর বাবা’সহ আরও কিছু নাটকে।

আরআইজে