করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতার তিন মাস ধরে আলাদা করে রেখেছে সৃজিত-মিথিলাকে। বিয়ের পর থেকেই করোনায় জর্জরিত তাদের লাভ স্টোরি। তবে সব বাধা অতিক্রম করে দুজন দুই শহরে থেকেও জমিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন সৃজিত। হরেক রকম সাজানো পদের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন পরিচালক।

সৃজিত-মিথিলার যোগাযোগের মাধ্যম এখন টেকনোলজি, কথাবার্তা চলছে অনলাইনে। কিন্তু আজকের এই বিশেষ দিনে সৃজিতকে জামাই-আদর খাওয়ার সুযোগ করে দিল কে? আসলে মিথিলার পরিবারের হয়ে সৃজিতের জন্য এলাহি খানাপিনার আয়োজনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বন্ধু শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। সশরীরে না হলেও ভার্চুয়ালি সৃজিতের এই জামাইষষ্ঠীর উত্সবে শামিল হন মিথিলা।

ভিডিও কলে সৃজিত, মিথিলা ও শুভঙ্করের তিন মাথা এক হলো, চলল জমিয়ে আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া। সৃজিতের কথায়, এক দিনের জন্য শুভঙ্কর ‘মিথিলার বাবা’! সুতরাং জামাইষষ্ঠীর দিন নতুন শ্বশুর খুঁজে পেলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

জামাইষষ্ঠী স্পেশাল মেনুতে কী কী ছিল? ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এদিন কবজি ডুবিয়ে সৃজিত খেয়েছেন ফ্রাইড রাইস, ডাল মাখানি, ফিস ফিঙার, মাংস, চাটনি। আর মিষ্টি মুখের জন্য ছিল ক্ষীর, পাটিসাপটা। এত্তো খাবার একা খেতে পারলেন সৃজিত? কৌতহলী অনুরাগীর মনের প্রশ্নের সোজা জবাব দিয়েছেন পরিচালক। জানান, চেষ্টা থাকলে কী না সম্ভব!

দুলাভাইয়ের শেয়ার করা এই ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত সৃজিত-মিথিলার বাংলাদেশি ভক্তরাও। অন্যদিকে প্রযোজক রানা সরকার কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘জামাই-শ্বশুর কাঁটাতার মানে না’।

এসকেডি