ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের বৈবাহিক জীবন ও মা হওয়া নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সর্বত্র চলছে সমালোচনা। এই অভিনেত্রী যেন ব্যক্তিগত জীবন সৃষ্ট বিতর্কের লাগামই টানতে পারছেন না। এর মধ্যে আবারও তার বৈবাহিক জীবনের বিষয়টি সামনে নিয়ে এলেন বিজেপির এক সংসদ সদস্য। 

সাংসদ সংঙ্ঘমিত্রা মৌর্য স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাত বৈবাহিক জীবন নিয়ে লোকসভায় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে গত ১৯ জুন স্পিকারকে একটি চিঠি লেখেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনের বিজেপি সাংসদ সংঙ্ঘমিত্রা মৌর্য। চিঠির সঙ্গে নুসরাতের লোকসভা প্রোফাইলও সংযুক্ত করেছেন তিনি। ওই প্রোফাইলে স্বামী হিসেবে নিখিল জৈনের নাম উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরাত। 

চিঠিতে মৌর্য অভিযোগ করেন, লোকসভায় শপথগ্রহণের সময়ও নিজেকে নুসরাত জাহান রুহি জৈন বলে উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তবে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে নুসরাত যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার সঙ্গে মিল খাচ্ছে না আগের তথ্য।

বিজেপি সাংসদ আরও জানান, ২০১৯ সালের ২৫ জুন শাড়ি, সিঁদুর পরে হিন্দু নববধূর সাজে নুসরাত লোকসভায় শপথ নিয়েছিলেন। তখন কট্টরপন্থিদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাকে। সেই সময় সাংসদদের একটা বড় অংশকে পাশে পেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এমনকি সংবাদমাধ্যমে দেখা গেছে, তার বিয়ের রিসেপশনে হাজির ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দায়ুনের বিজেপি সাংসদ জানান, ব্যক্তিগত জীবনে নুসরাত কী করছেন, তাতে কেউ নাক গলাচ্ছে না। তবে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য এটাই ইঙ্গিত করে যে লোকসভায় বিভ্রান্তিকর তথ্য পেশ করেছেন নুসরাত, যা অনৈতিক ও বেআইনি।

এসএসএইচ