তুরস্কের এই সুন্দরীকে দেখে হতাশ ভক্তরা, কীভাবে হলো এ হাল?
ইউটিউব বা ফেসবুকে বিভিন্ন শর্টস ভিডিও কিংবা রিলসে এই সুন্দরীকে দেখা যায় হরহামেশাই। হিন্দি কিংবা বাংলা গানের মিক্সেই নজর কেড়েছেন বেশি, যদিও সেসব রিলস কিংবা শর্টসের জন্য মূলত তার জনপ্রিয়তা নয়।
তুরস্কের ড্রামা যারা দেখে থাকেন, তাদের অনেকে এই সুন্দরীর আসল পরিচয় জানেন। যার মায়াবী, গোলগাল ও মিষ্টি হাসির চেহারা কাবু করেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের অসংখ্য পুরুষের। তিনি আর কেউ নন, অভিনেত্রী ও মডেল হ্যান্ডে এরচেল; যাকে অনেকে ‘হায়াত’ নেমেও চেনেন। ‘আশক লাফতান আনলামাজ’ নাটকে হায়াত চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় তাকে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও জনপ্রিয় করে তোলে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে হ্যান্ডে এরচেলের প্রকাশিত কিছু ছবি দেখে রীতিমতো বড় ধাক্কা খেয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সামাজিক মাধ্যমে এখন একটাই প্রশ্ন- প্রিয় ‘হায়াত’-এর এই হাল কী করে হলো?
সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেই চিরচেনা হ্যান্ডে এরচেল এখন পুরোপুরি বদলে গেছেন। অতিরিক্ত ওজন হ্রাস এবং চেহারার শার্প গড়নের কারণে তাকে চেনাই দায় হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক মাধ্যমে তার এই নতুন লুক নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। তার ছবি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। এছাড়াও তার পোস্টেও মন্তব্য করেছেন অসংখ্য মানুষ। এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘ইনি দিন দিন তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধ্বংস করে ফেলছে।’ অন্য একজন হতাশ হয়ে লিখেছেন, ‘আগে তাকে অপূর্ব লাগত, এখন পুরো সার্জারি করা চেহারা।’ আবার অনেকে বলছেন, অতিরিক্ত ওজনের পরিবর্তনের ফলে তিনি কৃত্রিম বা ‘আর্টিফিশিয়াল’ হয়ে পড়েছেন। আবার অনেক ভক্তই মন্তব্য করেছেন, তারা সেই পুরনো হ্যান্ডেকেই বেশি পছন্দ করতেন।
অনেকের ধারণা, ক্যারিয়ারের প্রয়োজনে বা আধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে হ্যান্ডে নিজেকে এভাবে বদলেছেন। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ভক্তদের হৃদয়ে যে ‘হায়াত’ গেঁথে আছে, সেই হায়াতকে এই নতুন লুকে খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। সামাজিক মাধ্যমে এই ‘ট্রান্সফরমেশন’ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।
হ্যান্ডে এরচেল শুধু তুরস্কের নামজাদা অভিনেত্রীই নন, তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা। তার অভিনীত ‘সেন কাল কাপিমি’ বা ‘ইউ নক অন মাই ডোর’ তাকে আন্তর্জাতিকভাবে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বহুবার বিশ্বের সেরা সুন্দরীদের তালিকায় তার নাম এসেছে।
সূত্র : ইনস্টাগ্রাম
ডিএ