তৃতীয় স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। বেশ কয়েক মাস ধরেই তারা আলাদা থাকেন। শ্রাবন্তী ইতোমধ্যে নতুন প্রেমেও মজেছেন বলে শোনা যায়। তবে রোশান এখনো চান শ্রাবন্তীকে নিয়েই থাকতে।

সেজন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহের ফাস্টট্র্যাক আদালতে মামলা দায়ের করেন। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বুধবার (১৪ জুলাই) দুজনেরই আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোশান সিং উপস্থিত হলেও আসেননি শ্রাবন্তী। কেন আসেননি, সে বিষয়ে তিনি নিজে কিছু বলেননি।

শ্রাবন্তীর আইনজীবী শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘বুধবার শ্রাবন্তী চ‌্যাটার্জি আদালতে হাজির হননি। যদিও আদালত তাকে উপস্থিত থাকার যে সমন পাঠিয়েছিলেন, তা গ্রহণ করেছেন তিনি। তবে এখন লকডাউন চলছে, সে কথা মাথায় রেখে অন্য একটি দিনে তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলেছি।’

এদিকে শ্রাবন্তীর অনুপস্থিতির কারণে সংশয়ে আছেন রোশান সিং ও তার আইনজীবী। তাদের দাবি, ‘দ্বিতীয় শুনানিতেও উপস্থিত না হলে নিয়ম অনুসারে এক তরফা শুনানি হওয়া উচিত। কারণ আদালতে রোশান উপস্থিত ছিলেন।’

উল্লেখ্য, রোশান সিং তার মামলায় বলেছেন, গত ১২ এপ্রিল ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শ্রাবন্তীকে পুনরায় সংসার শুরুর অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু ২৬ এপ্রিল এর উত্তরে শ্রাবন্তী জানান, তিনি সংসার শুরু করতে রাজি নন। এরপর সোমবার (৭ জুন) শিয়ালদহের ফাস্টট্র্যাক আদালতে মামলা দায়ের করেন রোশান। তার দাবি, শ্রাবন্তীর সঙ্গে তার কোনো তিক্ততা নেই। তাই তিনি পুনরায় সংসার শুরু করতে চান।

ভারতের হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারায় ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’র কথা বলা আছে। এই ধারা অনুযায়ী— স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ না দেখিয়ে একসঙ্গে না থাকেন, তবে অপরজন এই ধারায় মামলা করতে পারেন। মামলার পর সম্পর্ক ভাঙনের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ কারণ দেখাতে হয়। ওই ধারাতেই রোশান সিং মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি সর্বপ্রথম বিয়ে করেছিলেন নির্মাতা রাজীব বিশ্বাসকে। ২০০৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। এরপর ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ করেন তারা। একই বছর শ্রাবন্তী বিয়ে করেন মডেল কৃষাণ বিরাজকে। সে সংসার মাত্র এক বছর টিকেছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে রোশান সিংকে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী।

কেআই