জুলিয়ার হাতে স্বর্ণ পাম তুলে দেন শ্যারন স্টোন

১২ দিনের বিশ্ব চলচ্চিত্রের দৌরাত্ম্য শেষে পর্দা নামল ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের। ফরাসি নির্মাতা জুলিয়া দুকুরনোর ‘টাইটেন’ চলচ্চিত্রটি জিতে নিয়েছে উৎসবের সেরা পুরস্কার স্বর্ণ পাম বা পাম দ্য’র।

এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর স্বর্ণ পাম জিতলেন কোনো নারী নির্মাতা। পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আলো ঝলমলে অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন ও এবারের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্রধান আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালক স্পাইক লি। কানের ইতিহাসে এর আগে নারী নির্মাতাদের মধ্যে ১৯৯৩ সালে স্বর্ণ পাম জিতেছিলেন জেন ক্যাম্পিয়ন। 

১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ব্যাপ্তির ‘টাইটেন’ ছবির গল্প বাবা-ছেলের সম্পর্ককে ঘিরে। ব্যাখ্যাতীত বেশকিছু অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় বাবার। তার এই ছেলে ১০ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল। চিত্রনাট্য লিখেছেন জুলিয়া দুকুরনো নিজেই। তার আগের ছবি ‘র’ ২০১৬ সালে কানে ফিপ্রেসকি পুরস্কার জিতেছিল।

এবার মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণ পামের জন্য মনোনীত হয় ২৪টি ছবি। সেগুলোর মধ্যে ‘টাইটেন’কে সমালোচকরা বলা যায় গোনাতেই ধরেননি! তবে ৩৭ বছর বয়সী নির্মাতা জুলিয়া ইতিহাস রচনা করে ফেললেন। মূল প্রতিযোগিতায় এবার সবচেয়ে কম বয়সী পরিচালক ছিলেন তিনিই।

গত ৬ জুলাই কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরের পর্দা ওঠে। এবারের আয়োজনের অফিসিয়াল পোস্টারে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের সভাপতি স্পাইক লি’কে সম্মান জানানো হয়েছে। ১২ দিনের এই উৎসবকে ঘিরে নতুন সব ছবি ও নানান আয়োজনে মুখর ছিল দক্ষিণ ফরাসি উপকূলীয় শহর কান। শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে (বাংলাদেশ সময় ১৮ জুলাই মধ্যরাত) কান উৎসবের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। 

কানে সেরা যারা

মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের পুরস্কারের তালিকা-

স্বর্ণ পাম বা পাম দ’র : টাইটেন (জুলিয়া দুকুরনো, ফ্রান্স)

গ্র্যাঁ প্রিঁ : অ্যা হিরো (আসগর ফারহাদি, ইরান) এবং কম্পার্টমেন্ট নম্বর সিক্স (ইওহো কুয়োসমান, ফিনল্যান্ড)

সেরা পরিচালক : লিও ক্যারাক্স (আনেট, ফ্রান্স)

জুরি প্রাইজ : আহেদ’স নি (নাদাভ লাপিড, ইসরায়েল) এবং মেমোরিয়া (অ্যাপিচ্যাটপঙ বিরাসেতাকুল, থাইল্যান্ড)

সেরা অভিনেতা : ক্যালেব লান্ড্রি জোন্স (নিট্রাম, আমেরিকা)

সেরা অভিনেত্রী : রেনোত রাইনসভে (দ্য ওর্স্ট পারসন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, নরওয়ে)

সেরা চিত্রনাট্য : ড্রাইভ মাই কার (রিয়ুসুকে হামাগুচি ও তাকামাসা ওয়ে, জাপান)

সম্মানসূচক পাম দ’র : জোডি ফস্টার ও মার্কো বেলোচ্চিও

এইচকে