নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি। তাই প্রতি বছর এই দিনে তাকে স্মরণ করে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রপ্রেমী অগণিত মানুষ।

তবে হুমায়ূন আহমেদকে একটু বিশেষভাবে স্মরণ করে তারই হাতে গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কেবল করোনা মহামারির কথা বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে এবারের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০০৬ সালে হুমায়ূন আহমেদ কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল তার স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে।

প্রতি বছরই বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হয় এখানে। বিষয়টি জানিয়ে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আমরা হুমায়ূন স্যারের মৃত্যুবার্ষিকী বড় পরিসরে পালন করতে পারিনি। তবে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে স্যারকে স্মরণ করেছি। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল- কালো ব্যাজ ধারণ, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোকর‌্যালি, কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের কর্ম ও জীবনের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হুমায়ূন আহমেদের চাচা আলতাবুর রহমান আহমেদ, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, সহকারি প্রধান শিক্ষক শরীফ আনিস আহমেদসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ ও চর্চা সাহিত্য আড্ডা যৌথভাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।

কেআই