দেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ গানটি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার দিয়েছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ছেলেটা ভালো গান করে। তাকে সমর্থন করুন।’

সেই ছেলেটা কে? কেনই বা তার পক্ষ নিলেন হাবিবের মতো তারকা? সে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে প্রথমেই শুনতে হবে গানটি। শিরোনাম ‘চল দোতং পাহাড়’। এটা পাহাড় ও সেখানকার নৈস্বর্গিক জীবনের আখ্যান নিয়ে সৃষ্টি করা গান। এর কথা ও সুরে মিশে আছে শহুরে একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি আর পাহাড়ের বুনো শান্তির আবেশ।

‘চল দোতং পাহাড় জুম ঘরে, পুর্নিমা রাত বর্ষা জুড়ে, জীবন জুয়ার আসর বসাবো/ আমি মারফা রেঁধে দেবো পাতে, বিন্নি চালের ভাত সাথে, দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে তৃপ্তির আলিঙ্গন/’- এমন কাব্যকথায় সাজানো গানটি লিখেছেন এবং সুর-সংগীত করেছেন গায়ক নিজেই। তার নাম সোহান আলী।  

বেশ কিছু দিন আগে সোহান তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেন। সাদাকালো একটি স্টুডিও ভার্সন ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশিত সে গান ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে। ফেসবুক ও ইউটিউবে অনেকেই গানটির কভার করছেন। কেউ গাইছেন, আবার কেউ এ গানের তালে নেচে ফুটিয়ে তুলছেন মুগ্ধতা।

সোহানের এই গান নিয়ে সংগীতাঙ্গনের অনেকেও প্রশংসা করেছেন। কবি ও সংগীতশিল্পী লুৎফর হাসান সোহানের প্রশংসা করে লিখেছেন, “বেহুলা’র (শূন্য ব্যান্ডের গান) পর আরও এক নতুন সিগন্যালের মৌলিক গান। আমি মনে করি এই গান ভাইরাল হয়ে ভেসে যাওয়া উচিৎ। শুভকামনা সোহান আলী।”

গায়ক ও সংগীত পরিচালক আকাশ মাহমুদ শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘ভালো গান কি শুনতে চান? এই গানটা শুনুন!’ সংগীতশিল্পী ও প্রযোজক ধ্রুব গুহ গানটির প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘খুবই ভালো লাগল’; সময়ের অন্যতম সেরা গীতিকবি সোমেশ্বর অলি লিখেছেন, ‘ভালো লেগেছে’।

সোহান জানান, ফেসবুক ও ইউটিউব মিলিয়ে গানটি প্রায় এক লক্ষ মানুষ উপভোগ করেছেন। হাজারও শ্রোতা মন্তব্যের ঘরে জানিয়েছেন তাদের ভালোলাগার কথা।

গানটির বিষয়বস্তু নিয়ে মেধাবী এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘শহরের জীবন খুব জটিল ধাঁধার মতো। এক ধাঁধা মেটানোর আগে আরেক ধাঁধার উত্তর খুঁজতে হয়। সবকিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে পাহাড়ে গিয়ে পড়ে থাকার ইচ্ছা থেকেই ‘চল দোতং পাহাড়’ গানটি লিখেছি। আর কোনো ধরনের অটো টিউনিং ব্যাবহার না করে ইইচ্ছাকৃতভাবে ইম্পারফেকশন রেখে একদম আড্ডার স্টাইলে সংগীতায়োজন করার চেষ্টা করেছি। বান্দরবান নিয়ে এর আগে এরকম গান কখনো হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না।’

কেআই