তিনি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম বড় তারকা। দক্ষিণী সিনেমায় তাকে ঈশ্বরের মতো সম্মান করেন দর্শকরা। সেই রজনীকান্তের মেয়েকেই কিনা বিয়ে করে ফেললেন এক হ্যাংলা-পাতলা যুবক!

বলছি তামিল অভিনেতা ধানুশের কথা। যিনি রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করেছেন। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে এর আগে দু’জন প্রেমে মজেছিলেন। আজ ২৮ জুলাই ধানুশের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার প্রেম ও বিয়ের পেছনের গল্প।

ধানুশ অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ছিল ‘কাদাল কোন্দেইন’। এই সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়। সেখানে রজনীকান্ত তার পরিবারসহ এসেছিলেন। তখন রাজনীকান্ত নিজেই ধানুশের সঙ্গে মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেন। সৌজন্যমূলক আলাপেই সেদিনের সাক্ষাৎ শেষ হয়।

কিন্তু পরে ধানুশকে একটি ফুলের তোড়া পাঠান ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে চিরকুটে লেখা ছিল ‘ভালো কাজ’। এখান থেকেই শুরু তাদের ভালোলাগার গল্পটা। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা হতে বেশি সময় লাগেনি। কারণ ঐশ্বরিয়া ছিলেন আবার ধানুশের বোনের বন্ধু। তাই দেখা-সাক্ষাৎ প্রায়শই হতো।

এদিকে সিনেমায় সাফল্যের সুবাদে ধানুশ তারকা খ্যাতি লাভ করেন। তাকে নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছিল সাউথ ইন্ডিয়ান গণমাধ্যমে। আর ওই সময়েই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টা শুনে প্রথমে রেগে যান দুই পরিবারের সদস্যরা। এর পেছনে একটা কারণও অবশ্য ছিল। তা হলো ধানুশের চেয়ে ঐশ্বরিয়া দুই বছরের বড়!

তবে নিজেদের ভালোবাসার ওপর বিশ্বাস রেখে অটল ছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। তাই শেষ পর্যন্ত পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনেই নেয় এবং পারিবারিক আয়োজনেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, ধানুশ তামিল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা তারকা। তিনি মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ছেন। ৭টি ফিল্মফেয়ার সাউথ পুরস্কার ও ১৩টি সিমা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া একজন নির্মাতা ও গায়িকা। ধানুশ অভিনীত ‘থ্রি’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের নাম যাত্রা ও লিঙ্গা।

কেআই/আরআইজে