গত বছরের মে মাসের কথা। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশে বিরাজ করছিল স্থবির অবস্থা। সেই স্থবির সময়েই চুপি চুপি দুটি মনের পরিচয় ঘটে। যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় ভালোবাসায়। আর সর্বশেষ তারা বেঁধেছেন ঘর।

গল্পটা জনপ্রিয় অভিনেতা নিলয় আলমগীর ও তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী তাসনুভা তাবাসসুম হৃদির। একান্ত আলাপে সেই গল্পটা ঢাকা পোস্ট-এর কাছে শেয়ার করেছেন নিলয়।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থী হৃদি। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া সমাজসেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আহ্বান ফাউন্ডেশন’-এর হেড অব কমিউনিকেশনসের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। নিলয় বলেন, ‘গত বছরের মে মাসের দিকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় হৃদি। ওর প্রোফাইলে ঘুরে দেখলাম বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে। এটা আমার বেশ ভালো লাগে। তাই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করি।’

এরপর গল্পটা এগিয়েছেন নিলয় নিজেই। কারণ নিজ থেকেই হৃদিকে মেসেজ পাঠান তিনি। এরপর শুরু চ্যাটিং। দৈনন্দিন নানা বিষয় একে-অপরের সঙ্গে শেয়ার করে নিচ্ছিলেন ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে। কিন্তু প্রথম মেসেজটা কী ছিল? নিলয় বললেন, ‘এখন অবশ্য মনে নেই। আসলে এত চ্যাটিং করেছি যে, ওই প্রথম মেসেজটা পর্যন্ত গিয়ে দেখতে পারিনি।’

আলাপ তো চলছিল, তাহলে প্রেমটা হলো কখন? একটুও না ভেবে দিন-তারিখসহ বলে দিলেন নিলয়। তার ভাষ্য, ‘চ্যাটিং করতে করতে একটা ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল। তবে সেটা ভালোবাসায় রূপ নেয় প্রথম দেখার পর। এ বছরের জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে আমরা বনশ্রীর একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করি। ও সেদিন বনশ্রীতে গিয়েছিল একটা স্বেচ্ছাসেবী কাজে। আমারও সুযোগ হলো। তাই দু’জন প্রথম দেখা সেরে নিলাম। ওই সাক্ষাতের পরই মূলত আমরা অনুভব করি যে, একে-অপরকে ভালোবেসে ফেলেছি।’

প্রেম পর্ব শুরু হলেও খুব বেশি দেখা করতে পারতেন না নিলয় ও হৃদি। কারণ হৃদির পরিবার কিছুটা রক্ষণশীল। তাই চাইলেও সেভাবে বের হতে পারতেন না তিনি।

বিয়ের প্রস্তাবটা কে কাকে দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নিলয় বলেন, ‘আমিই দিয়েছি। আসলে আমি তো কেবল সময় কাটানোর জন্য প্রেম করিনি। বিয়ের চিন্তা-ভাবনা করেই এগিয়েছি। এটা হৃদিকে জানানোর পর সে জানায়, তার ভাবনাও এরকম। এরপর ভাবলাম, তাহলে আর দেরি করে লাভ কী, তাড়াতাড়ি করে ফেলি!’

নিলয় ও হৃদি বিয়ে করেছেন গত ৭ জুলাই। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক মাসের বেশি সময়। কিন্তু এত দিন তারা খবরটি প্রকাশ করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিলয় বলেন, ‘আমাদের বিয়েটা হয়েছে লকডাউনে। একেবারে ঘরোয়া আয়োজনে। তো আমরা যে ফেসবুকে দু’চারটে ছবি আপলোড করে সুখবরটা দেব, সেটা হয়ে উঠছিল না। কারণ লকডাউন চলছিল। গতকাল (১০ আগস্ট) লকডাউন শেষ হল, এদিন রাতেই আমরা সেজেগুজে ছবি তুললাম। আর আজ জানালাম।’

আরআইজে/কেআই