বিশ্বখ্যাত পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব ছাড়লেন তার বাবা জেমি স্পিয়ার্স। বৃহস্পতিবার আদালতের একটি নথির ওপর ভিত্তি করে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।

কিছুদিন আগে আদালতে ব্রিটনি তার বাবার বিরুদ্ধে অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন। শুধু তাই নয়, ব্রিটনির অভিযোগ, ব্যক্তিগত জীবনও দুর্বিষহ করে তুলেছেন তার বাবা। সেই মামলার রায় এখনো হয়নি। তার আগেই মেয়ের আইনি অভিভাবকত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটনির বাবা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই দায়িত্ব থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।

২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ব্রিটনি। সে সময় মেয়ের ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থ-সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য আইনি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা জেমি স্পিয়ার্স।

কিন্তু এই অভিভাবকত্ব ক্রমেই ব্রিটনির কাছে অমানবিক হয়ে ওঠে। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন, বাবার বিরুদ্ধে অর্থ অপব্যহারের অভিযোগ আনেন এবং বাবার অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি চান। শুধু তা–ই নয়, একে অমানবিক ও নিপীড়নমূলক বলেও উল্লেখ করেন। বাবার হাত থেকে মুক্তি না দিলে গান ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

যদিও শুরু থেকেই গায়িকার বাবা এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। মামলা চলাকালে ব্রিটনির পক্ষে দাঁড়ান তার ভক্তরা। হ্যাশট্যাগ ফ্রিব্রিটনি প্রচারণার মাধ্যমে বিষয়টিকে আর গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন তারা। সাবেক প্রেমিক জাস্টিন টিম্বারলেকসহ আরও অনেকেও দাঁড়ান ব্রিটনির পক্ষে।

তবে ব্রিটনির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার বাবা। তার মতে, তিনি যা করেছেন, মেয়ের ভালোর জন্যই করেছেন।

আরআইজে