কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙুলি সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন স্বামী রাজ চক্রবর্তী, পুত্র ইউভানসহ সংসার-ক্যারিয়ারের অনেক বিষয় নিয়ে। তার মতে, তার জীবনে ‘মা’ হওয়া অভিনেত্রী হওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শুভশ্রী বলেন, ‘যে নিজে মা হয়নি, সন্তানের জন্ম দেয়নি, প্রথমবার সন্তানকে কোলে নেয়নি--তাকে এই অনুভূতি বোঝানো খুবই মুশকিল। ইউভান আমার এই সব স্বপ্ন পূরণ করেছে। তাই ইউভানের মতো দামি আমার জীবনে আর কেউ নয়।’

মায়ের ভূমিকা নিয়ে তার সাফ জবাব, যে কোনও নারীকেই জীবনে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনিও ব্যতিক্রম নন। কখনও সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে, কখনও আবার অভিনেত্রীর মা হওয়ার জন্য বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ে ধেয়ে আসা কটাক্ষের সঙ্গে।

অভিনেত্রীর মাতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করতে করতেই উঠে আসে নুসরাতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রসঙ্গ। যা এই মুহূর্তে টলিউডের চর্চিত একটি বিষয়। এ নিয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘মা হওয়ার জন্য নুসরাতকে যেভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছে, আমার ধারণা সেটাকে ও একদমই গুরুত্ব দেয়নি। বরং নিজের মতো এই সময়টাকে উপভোগ করছে। নুসরাতও হয়তো তাদেরই মনে রাখবে, যারা ওর পাশে ছিল।’

শুভশ্রীর ব্যস্ততার প্রভাব পড়েছে ছেলের ওপরও। ছোট পর্দার রিয়্যালিটি শোয়ে মাকে দেখে চিনতে পারছে সে। শুভশ্রীর অনুরাগীরাও ইউভানকে আপন করে নিয়েছেন। শুভশ্রী উপভোগ করেন যখন কারিনা কাপুর খানের ছবিতে তার কোলে ছেলে তৈমুরের চেহারায় সযত্নে বসিয়ে দেওয়া হয় ইউভানের মুখ। রাগের বদলে গলা ছেড়ে হাসতে হাসতে অনায়াসে বলে ওঠেন, ‘ভালোই তো, আমার ছেলে জাতীয় স্তরের তারকা হয়ে গেল! রাজ আর আমি এটা নিয়ে খুব মজা করি।’

মা হওয়ার মুহূর্তে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন শুভশ্রী। ইউভানের জন্মের কিছু দিন আগেই প্রয়াত হন তার শ্বশুর কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী। আজও সে কথাa ভুলতে পারেননি শুভশ্রী। বলেন, ‘বাবা আমাকে খুব ভালবাসতেন। শ্রদ্ধাও করতেন। আমার সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিতেন। বাবা যে আমাদের মধ্যে নেই, সেটা এখনও বিশ্বাস করতে পারি না।’

শাশুড়ির কথাও বলতে ভুললেন না শুভশ্রী। অভিনেত্রী জানালেন, শাশুড়ি মা কোনওদিন তাকে রান্নাঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেননি। শুভশ্রী কথায়, ‘এক গ্লাস জল চাইলেও মা রাজের কাছে চান। আমাকে কোনও দিন বলেননি এক গ্লাস জল এনে দাও।’

আরআইজে