স্বামীর অভিনয়ের নেশা ভালো লাগে না ফারিয়ার!
ফরিদ একজন অভিনয়শিল্পী। বিভিন্ন রকম চরিত্রে অভিনয় করে। কখনো পাগলের চরিত্রে, কখনো অন্ধ, কখনো খোঁড়া ইত্যাদি নানা রকম চরিত্র ফুটিয়ে তুলে ভিক্ষাবৃত্তি করে। তা থেকে যে অর্থ আসে, ওটা দিয়েই সংসার চালায়। কিন্তু এই কাজ একদমই পছন্দ করে না ফরিদের স্ত্রী জুলেখা।
ফরিদ এক সময় যাত্রাপালায় কাজ করেছে। অভিনয় তার নেশা। এজন্য অভিনয় ছাড়তে পারে না সে। কিন্তু অভিনয় করে সংসার চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্যই অভিনয়ের মাধ্যমে ভিক্ষা করে। এতে করে অভিনয়টাও থাকল, আয়ও হলো। জুলেখার এসব ভালো লাগেনা। সে চাইলেই অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী হতে পারতো।
বিজ্ঞাপন
এমন হতাশা আর অপ্রাপ্তিতে ঘেরা জীবনেই হঠাৎ আসে বড় খুশির খবর। ফরিদ সুযোগ পায় দেশের নামকরা এক পরিচালকের সিনেমায় কাজের সুযোগ। এরপর কী হয়? সেটা জানা যাবে ‘আমি একজন অভিনেতা’ নাটকটি দেখলে। কারণ উল্লেখিত গল্পাংশ সেই নাটকেরই।
গাজীপুরের বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়। মেহরাব জাহিদের গল্প-ভাবনায় নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ ফারুক। পরিচালনা করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ। প্রযোজনা করেছেন মারুফ আহমেদ খান রিজভী।
বিজ্ঞাপন
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শাহরিন, সালমান শাহরিয়ার, চাষী আলম, সবুজ, সিব্বিরসহ আরও অনেকে। শিগগিরই নাটকটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
এ নাটকে অভিনয়ের প্রসঙ্গে ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘গল্পটি ভিন্ন ধাঁচের। এখানে আমি ভিক্ষুকের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চেষ্টা করেছি ভালো করতে। বাকিটা দর্শকরা বিবেচনা করবেন।’
নির্মাতা কাজী সাইফ আহমেদ বলেন, ‘আমি একটু ভিন্ন ধারার কাজ করতে পছন্দ করি। একজন ভিক্ষুকের অভিনয়ের নেশাটা আছে। কিন্তু সে যখন অভিনয় করার সুযোগ পায় না, তখন রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে অভিনয়ের স্টাইলে। একেক দিন একেক স্টাইলে ভিক্ষা করে। এভাবে তার অভিনয়ের ক্ষুধা মেটায়। চেষ্টা করেছি পরিপাটি একটি কাজ করার। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
কেআই