এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ‘দেবী’ সিনেমায় তার অভিনয় পেয়েছে প্রশংসা। এবার তাকে দেখা গেল ওয়েব ফিল্মে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘মুন্সিগিরি’। সে উপলক্ষে ফারিয়া কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে...

‘দেবী’তে চঞ্চল চৌধুরীর ছাত্রীর ভূমিকায় ছিলেন, এখানে হলেন স্ত্রী। চরিত্রের পরিবর্তনটা কীভাবে মানিয়ে নিয়েছেন?

‘দেবী’ সিনেমায় কিন্তু আমাদের চরিত্র বিল্ডআপের কোনো ব্যাপার ছিল না। যার কারণে ওই অনুযায়ী অভিনয়ের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু এরপর আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। যেখানে আমরা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়ও ছিলাম। তাই নতুন করে মানিয়ে নেয়ার কিছু আসলে ছিল না।  

তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে আমার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা চমৎকার। তার সঙ্গে কেবল আমার নয়, যারাই কাজ করেন; সবার রসায়ন ভালো। কারণ তিনি অসাধারণ একজন অভিনেতা। কাজের সুযোগে তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি। তার কাছ থেকে অভিনয় যতটুকু নেয়া যায়, সেটা নেয়ার চেষ্টা করেছি।   

প্রথম ওয়েব ফিল্ম অমিতাভ রেজার নির্মাণে। তার কাজ নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

অমিতাভ রেজা খুবই গোছানো একজন নির্মাতা। তার পুরো টিম অনেক গুছিয়ে কাজ করে। তিনি কোনো কিছু ইনস্ট্যান্ট করেন না। সব কিছু পরিকল্পনা সাজিয়ে করেন। তাই তার সঙ্গে কাজ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারণ তার মতো গোছানো পরিচালক আমি আর পাইনি।

নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ সব কিছু মিলিয়েও ফারিয়ার কাজ কম। কেন?

কাজ কম কারণ ফারিয়া একটু টায়ার্ড। আর গত কয়েক বছর ধরে আমি চাচ্ছি, কাজের সংখ্যার চেয়ে মানের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে। এছাড়া আমি যে ধরনের কাজ করতে চাই, বা যে ধরনের কাজ ডিজার্ভ করি, তেমন কাজ আমার কাছে সেভাবে আসছেও না। আমি শুধুমাত্র টাকার জন্য গণকাজ করতে চাই না। যদি দেখি মাসে একটা কাজ আসে করার মতো, তাহলে ওই একটাই করতে চাই। আমি চেষ্টা করছি ভালো মানের কাজ করতে। হ্যাঁ টাকার লোভ সামলানো কঠিন। কারণ সবাই শুটিং করছে। তাদেরকে দেখলে আমারও শুটিং করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই যে লোভ সংবরণ করছি, এর জন্য নিজেকেই নিজে ক্রেডিট দিচ্ছি।

ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে অনুসারীদের বিভিন্ন মন্তব্যের বিপরীতে কৌশলী-মজার উত্তর দেন। তারকারা সাধারণত এটা করেন না। আপনি করেন কেন?

এটা পূর্বপরিকল্পনা করে, মাথা ঠাণ্ডা রেখে করি না। তাৎক্ষনিক হয়। আসলে অনেক চেষ্টা করি ধৈর্য রাখতে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু মানুষ সেই ধৈর্য ধরে রাখতে দেয় না। তাই রিপ্লাই দিয়ে ফেলি। তবে এটা যে খুব ভালো কিছু, তা না। কারণ এতে কমেন্টকারীরা আরও উৎসাহ পেয়ে যায় উল্টাপাল্টা কমেন্ট করতে। এটা আমারই অপারগতা। আমি সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারি না। তবে চেষ্টা করব মাথা ঠাণ্ডা রাখতে।

কেআই/আরআইজে