গোয়্যেথে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করছে বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের ২২টি দেশ থেকে ১২২টি চলচ্চিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে উৎসবের আন্তর্জাতিক আয়োজন। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া উৎসব চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

আগামী শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়াল উদ্বোধনী পর্বের মধ্য দিয়ে এসব চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী শুরু হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে ৩২টি চলচ্চিত্র। 

রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে উৎসবের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে সবগুলো সিনেমা। এজন্য আগ্রহী দর্শকদের এই লিংকে www.goethe.de/sffbd21 নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছে গ্যোয়েথে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। 

উৎসব সামনে রেখে ২০ অক্টোবর (বুধবার) এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে গোয়্যেথে ইনস্টিটিউট জানায়, দেশের দর্শকদের জন্য বোধগম্য করতে তিনটি চলচ্চিত্র বাংলায় ডাব করা হয়েছে এবং আরো তিনটি চলচ্চিত্রে সাবটাইটেল সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসবকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিজ্ঞান যোগাযোগের একটি উৎসব হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র এবং শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে, সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশগত সচেতনতা বাড়ানোই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের জন্য কর্মশালা, কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা। অনলাইন চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি কিছু চলচ্চিত্র স্থানীয় টেলিভিশনে প্রদর্শিত হবে।

উৎসব সামনে রেখে এক বিবৃতিতে গোয়্যেথে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক ড. কির্স্টেন হ্যাকেনব্রোক বলেন, বিজ্ঞান যে পরিবর্তন আনতে পারে এবং জীবন বাঁচাতে পারে, তা আমরা সবাই আবার নতুন করে শিখেছি। একজন বিজ্ঞানী হওয়ার অর্থ অজানার পথে হাঁটা, তর্ক-বিতর্কে অনুপ্রাণিত হওয়া, মানবতার জন্য স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ তৈরির লক্ষ্যে সহাবস্থান রাখা। এর শুরু হতে পারে শিশুকাল থেকেই। এই গুরুতর প্রচেষ্টাটি কীভাবে মজাদার হতে পারে, তা দেখানো বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসবের একটি লক্ষ্য।

এইচকে