নতুন রূপে হাজির হয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। একেবারে অবিকল নরেন্দ্র মোদির রূপে। বরং বলা যায় নরেন্দ্র মোদি নতুন রূপে দেখা দিলেন। ‘স্বস্তিক সংকেত’ ছবিতে রুদ্রনীলের নতুন লুক দেখে ভক্তদের কাছে তাকে প্রথমে নরেন্দ্র মোদি মনে হয়েছিল। সাদা দাড়ি, ঢেউ খেলানো পাকা চুল নিয়ে হুবহু যেন মোদি। অনেকে ট্রল করার চেষ্টা করলেও রুদ্রনীল রাগ তো করেনইনি, বরং খুশিতে তিনি ডগমগ।

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপাকালে অভিনেতা বলেন, সব কৃতিত্ব পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল ও মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুর পাওনার। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের লুকের তুলনা হওয়ায় বেজায় খুশি তিনি। জানালেন, তাকে রুদ্রনীল হিসেবে নয়, বরং সম্পূর্ণ অন‍্য একটি চরিত্র হিসেবে মানুষ দেখছে। এতেই তিনি বেশি খুশি।

রুদ্রনীলের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদির লুকের সঙ্গে তার লুক হুবহু মিলে গেছে। প্রশংসাও পাচ্ছেন ভরপুর। ভবিষ্যতে কি মোদির বায়োপিকে অভিনয়ের ইচ্ছা আছে? অভিনেতার উত্তর, সেটার জন‍্য আসল মানুষটার সঙ্গে চেহারার এবং উচ্চতার মিল থাকতে হবে। পাশাপাশি ভালো করে পর্যবেক্ষণও জরুরি। আপাতত সুভাষ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রেই দেখা মিলবে রুদ্রনীলের।

লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের ‘নরক সংকেত’ এর গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘স্বস্তিক সংকেত’। মূলত অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার ঘরানার ছবি হতে চলেছে এটি। ছবিতে নুসরাতের চরিত্রের নাম রুদ্রাণী। ক্রিপ্টোগ্রাফির ওপরে একটি বই লিখেছে সে। সেই বই প্রকাশ করার জন‍্যই লন্ডন যাত্রা তার। লন্ডনে গিয়েই শুরু যাবতীয় রহস্যের। রহস্যের সূত্র ধরে ছবির গল্প পৌঁছে যায় সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে।

তখন হিটলারের সঙ্গে দেখা করতে জার্মানি গিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালানো হচ্ছিল সে সময়। তখনি এক নভেল ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়। বিশ্বযুদ্ধে জয় পেতে ওই ভাইরাসকে ইচ্ছামতো ব্যবহার শুরু করে হিটলার বাহিনী। এসব দেখেই ভাইরাসকে প্রতিহত করার উপায়টি লুকিয়ে ফেলেন।

ছবিতে দেখানো হবে লন্ডনে রুদ্রাণী একটি ক্রিপ্টোগ্রাফির কোড উদ্ধার করতে গিয়ে নতুন করে শুরু হয় মারণ ভাইরাসের আতংক। লুকানো প্রতিষেধকের খোঁজ শুরু করে রুদ্রাণী। এ কাজে তার সঙ্গী হয় স্বামী প্রিয়ম। এ চরিত্রে দেখা যাবে গৌরব চক্রবর্তীকে। এছাড়া ছবিতে রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

এসএসএইচ