২০০৮ সালে ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে অভিষেক সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুলের। এরপর স্বপ্ন আর শ্রমের মিশেলে ধীরে ধীরে নিজেকে সামনে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এক সময় হয়ে ওঠেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের একজন। উপহার দিতে থাকেন একের পর সব হিট!

এবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি যোগ হলো ইমরানের প্রাপ্তির ভাণ্ডারে। গতকাল ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০-এ একসঙ্গে দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন এই গায়ক। এতে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়া সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’র গানের জন্য গায়ক ও সুরকার বিভাগে দুটি পুরস্কার পেয়েছেন ইমরান। প্রথমবার এমন স্বীকৃতি, তাও আবার একসঙ্গে ডাবল। এমন প্রাপ্তিতে বিস্মিত, আপ্লুত এই শিল্পী।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে, “প্রথমবারের মতো ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী এবং শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে একইসঙ্গে দুটি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পাচ্ছি  আল্লাহর অশেষ রহমতে। ১৪ বছরের এই সংগীত জীবনে আপনাদের ভালোবাসা ছিল আমার সব থেকে বড় পাওয়া। এই ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবে প্রাপ্তির খাতায় এখন পর্যন্ত যোগ হওয়া প্রতিটি পুরস্কারই আমার কাছে অমূল্য। কিন্তু এবারের প্রাপ্তিটা পুরোটাই অন্যরকম।

ইমরান বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়া যে কোনো মানুষেরই স্বপ্ন। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণের দিন।’

এই গায়কের ভাষ্য, ‘একইসঙ্গে দুটি ক্যাটাগরিতে এই স্বীকৃতি আমার আনন্দকেও দ্বিগুণ করে দিয়েছে। আমার এই প্রাপ্তি আমার একার নয়, এই প্রাপ্তি যারা আমাকে এবং আমার গানকে ভালোবাসে তাদের সকলেরই। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমার বাবা, মা, বোনসহ পরিবারের সকলের প্রতি যারা প্রতিটা মুহূর্তে আমার পাশে থেকে আমাকে আগলে রাখেন। কৃতজ্ঞতা জুরি বোর্ডের সকল বিচারকগণের প্রতি যারা আমাকে যোগ্য মনে করে করেছেন।’

উল্লেখ্য, গতকাল (মঙ্গলবার) চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক আসর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের সেরাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে, এবার ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩১ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

আরআইজে