বলিউডে চূড়ান্ত সাফল্য দেখলেও বিদ্যা বালানের অভিনয় ক্যারিয়ারের পথ শুরু থেকে মোটেই মসৃণ ছিল না। বহু 'না' এবং ব্যর্থতার সিঁড়ি টপকে আজ তিনি এ জায়গায়। বিদ্যা জানিয়েছিলেন একবার তাকে এতটাই অপমানিত করা হয়েছিল, সেইসব কথা এতটাই কুরুচিপূর্ণ ছিল যে টানা ৬ মাস আয়নায় নিজেকে দেখতে তার ইচ্ছে করত না।

সেই সময় পরপর সব ছবি থেকে তাকে বাদ দিয়ে দিচ্ছিলেন প্রযোজকরা। সেটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম কঠিন সময় ছিল। তিনি বলেন, এক ডজনেরও বেশি ছবি থেকে আমাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।

তিনি জানান, একটি ছবি থেকে বাদ পড়ে যাওয়াতে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলেন। রাগও হয়েছিল। শেষমেশ রাগে-দুঃখে মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত টানা হেঁটে গিয়েছিলেন তিনি! বাইরে তখন কড়া রোদ সেসব কিছু গ্রাহ্যই করেননি ' দ্য ডার্টি পিকচার'-এর নায়িকা।

বিদ্যা বলেন, অনেকে আবার আমাকে তা জানানোর সৌজন্যটুকুও বোধ করেননি। কোনো কোনো আচরণ এতটাই খারাপ ও কুরুচিপূর্ণ ছিল যে নিজেকে একজন জঘন্য মানুষ মনে হতো আমার। চরম হেনস্তার শিকার হয়েছি। একেক সময়ে এমনও হয়েছে ৬ মাস আয়নায় নিজেকে দেখতেও ইচ্ছা করেনি। ২০০২-০৩ সালে দক্ষিণী ছবির সব পরিচালক, প্রযোজকদের অফিস থেকে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আমাকে।

শেষমেশ ২০০৩ সালে বাংলা ছবি 'ভালো থেকো'-তে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন বিদ্যা। এরপর ২০০৫ সালে 'পরিণীতা' ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় ডেবিউ করেন তিনি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। 'লগে রহো মুন্নাভাই', 'পা', 'দ্য ডার্টি পিকচার', 'কাহানি'-র মতো একাধিক সুপারডুপার হিট ছবি বক্স অফিসে উপহার দিয়েছেন তিনি।

আগামী ১৮ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেতে চলেছে বিদ্যা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জলসা’। ছবিতে সংবাদ চ্যানেলের সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। বিদ্যা ছাড়াও এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে শেফালি শাহ-কে।

এসকেডি