ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, ‘শাহরুখ খান কে’। সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি তাকে চেনেন না। সেই হেমন্ত বিশ্বশর্মা রাত ২টায় ফোন ধরেছেন। ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন শাহরুখ খান। ফলাও করে সেই খবর আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন হেমন্ত। শুধু তাই নয়। নিজের পরবর্তী বক্তব্যে শাহরুখ খানকে ‘শ্রী শাহরুখ’ বলেও সম্বোধন করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। রাতারাতি ভোলবদল। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এই ডিগবাজিতে হাসছেন বিরোধীরাও। কিং খানের ফ্যানেরা লিখছেন, তাহলে এবার চিনতে পারলেন তো?

রোববার সকালে টুইটারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘বলিউডের অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান আমাকে ফোন করেছিলেন। রাত ২টায় আমাদের কথা হয়েছে। তার ছবির স্ক্রিনিংয়ের সময় গুয়াহাটিতে যে সমস্যা হয়েছে, সেই সম্পর্কেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। নিজের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন। আমি তাকে নিশ্চিত করেছি, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা তদন্ত করব ও এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা খেয়াল রাখব।’

প্রসঙ্গত, পাঠান রিলিজ করতে চলেছে ২৫ জানুয়ারি। তার আগেই শুক্রবার গুয়াহাটির নারেঙ্গিতে এক সিনেমা হলে তোলপাড় করেছে বজরং দল। পাঠানের পোস্টার ছিঁড়ে তা পুড়িয়ে ফেলেছে। ওই হলে পাঠান দেখানো যাবে না বলে হুমকি দিয়ে এসেছে বজরং কর্মীরা। ওই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। 

তখনই তিনি বলেন, কে এই শাহরুখ খান? আমি তার সম্পর্কে বা তার ছবি পাঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। কোনো সমস্যা হলে বলিউডের অনেকেই ফোন করেন। যদি উনি ফোন করেন তাহলে বিষয়টি ভেবে দেখব। যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেব। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। এরপরই রাত ২টায় হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেন শাহরুখ।

পাঠান ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি ও বেশরম গানটি নিয়ে প্রবল তোলপাড় শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো। তাদের দাবি, ওই গানে গেরুয়া রঙকে অপমান করা হয়েছে।

ওএফ