বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শ্রেয়স তলপাড়ে। ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন এই তারকা।  

বাড়িতে ফিরেই শ্রেয়স জানিয়েছেন কী ঘটেছিল তার সঙ্গে। এই অভিনেতা বলেন, ‘গত আড়াই বছর ধরে আমি টানা কাজ করেছি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই খুব দুর্বল, অসুস্থ লাগত। কিন্তু তবুও আমি কাজ থামাইনি। আমার কোলেস্টরল বেশি ছিল, একাধিক টেস্ট করেছিলাম। ওষুধ খাচ্ছিলাম। আসলে আমার বাড়ির আরও অনেকের হার্টের অসুখ আছে, তাই আগে থেকেই সাবধানতা নিচ্ছিলাম। সেদিন মুম্বাইয়ে ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল ছবির শুটিং করছিলাম। সেখানে দড়িতে ঝোলা, জ্বলে পড়ে যাওয়া এসবের সিন ছিল। কিন্তু শুটিংয়ে মনে হচ্ছিল আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। বাঁ হাত ব্যথা করতে শুরু করে। গাড়িতে উঠে মনে হয়েছিল হাসপাতালে যাই। তারপর বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’

বাড়িতে ফেরার পর শ্রেয়সের অবস্থা দেখে স্ত্রী দীপ্তি তাকে নিয়ে রওনা দেন হাসপাতালের পথে। পথেই হৃদস্পন্দন থেমে যায় অভিনেতার। গাড়ি পড়েছিল যানজটেও। কোনও রকমে লোকজনের সাহায্য নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসকেরা জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেন। শ্রেয়স জানিয়েছেন, সে সময় তার হৃদস্পন্দন ১০ মিনিটের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে অবস্থাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ বলে। 

এমন অবস্থা থেকেই বেঁচে ফিরে এসেছেন অভিনেতা। শ্রেয়স বললেন, ‘ক্লিনিক্যালি আমি মরে গিয়েছিলাম। মারাত্মক ছিল আমার হার্ট অ্যাটাকটা। এটা যেন জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিল। আমি বলে বোঝাত পারব না যে যাদের জন্য আমি আজ বেঁচে তাদের কাছে আমি কতটা কৃতজ্ঞ।’

সবশেষ এই অভিনেতা বলেন, ‘বেঁচে থাকলে সব হবে। নিজের স্বাস্থ্যকে টেকেন ফর গ্র্যান্টেড নেবেন না একদম। শরীর খারাপ হলে আর কিছুই ঠিক থাকবে না। শরীর যে সিগন্যালগুলো দেয় সেগুলো বুঝুন, শুনুন।’

কর্মজীবনে একাধিক হিন্দি ও মরাঠি ছবি করেছেন শ্রেয়স। প্রায় ২ দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি কাজ করেছেন ৪৫টিরও বেশি সিনেমায়। 

এনএইচ