নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন বলিউড অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ছোট থেকেই বডি শেমিং-এর শিকার ইলিয়ানা। শারীরিক গঠন আলাদা হওয়ায় নানান কটাক্ষের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে। যদিও প্রথমবার ক্যামেরার সামনে সাহসী রোম্যান্টিক দৃশ্যে কাজ করতে কোমর উন্মুক্ত করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর পরিচালকের মুখে প্রশংসা শুনেছিলেন নিজের। অভিনেত্রীকে ‘রোম্যান্টিক এবং নারীসুলভ’ বলেছিলেন ছবির পরিচালক।

এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা জানিয়েছিলেন, ‘এটা আমার প্রথম সিনেমা ছিল। দারুণ হিট করেছিল সিনেমাটি এবং এটি একরকমভাবে রোমিও এবং জুলিয়েটকে দেখার মতো ছিল। অনস্ক্রিনে পুরো প্রেমের গল্প মত ছিল, খুব উৎসাহী এবং নিবিড়। এবং সেই সিনেমায় একটি গান রয়েছে যার মধ্যে ক্রিমিক সেল এবং সেগুলো বেশ ভারী ছিল, সেগুলো আমার কোমরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তখন আমায় বয়স মাত্র ১৮ বছর, কিছু বুঝতে পারছিলাম না। আমি এত ছোট ছিলাম, এমনকি নির্বোধ’।

অভিনেত্রী আরও বলেন, “পরিচালক তখন আমাকে ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘তুমি জানো কী, এটি একটি কামুক শট। এটি ধীর গতিতে খুব সুন্দর দেখবে।’ এটি রোম্যান্টিক এবং মেয়েলি এবং শাঁসগুলোও মেয়েলি। এটাই এর পেছনে যুক্তি ছিল। যদিও আমি কিছু বুঝতে পারিনি। আমার সব কথা মনেও নেই। তবে আমাকে বুঝতে হবে ভেবে আমি এগিয়ে গিয়েছিলাম’।

ইলিয়ানার কথায়, ‘আমার কি তখনই সেটা করা উচিত, নাকি নয়। আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি। আমি পুরোটাই শুটিংয়ে ভালো লাগবে বলে এবং নারীসুলভ দেখাবে সেই হিসেবে করেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল এটা আমার কাজের মধ্যে পড়ে, তাই আমি করেছি। আমি গান এবং নাচের জিনিস পছন্দ করি। মানে আমি একজন ভারতীয় ছবির অভিনেত্রী। আমি সব কিছু মিশ্রণ করতে পছন্দ করি। তো কে জানে। আপনি কখনো জানেন, সিরামিক শেল ভারি নাকি হালকা কিছু। এটি একটু ভারি ছিল, তবে আমার অ্যাবসের পেশী শক্তিশালী’।

৩৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, ছোট থেকে তিনি বডি শেমিং-এর শিকার। তার মতে, বডি শেমিংয়ের ‘ক্ষত’ শুকিয়ে গেলেও মনের গভীর গোপনে এর দাগ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায়। সঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘যে যা বলছে বলুক, পাত্তা দিই না।’

হিন্দুস্তান টাইমস